Drone Attack : চিনের 'চড়ুই' বনাম ভারতের 'বাজ'! ভবিষ্যতে আকাশপথের নকশা বদলাতে প্রস্তুত দুই দেশ, জানুন পরিকল্পনা
এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৪
শত্রু ড্রোন রুখতে নয়া পরিকল্পনা ভারত ও চিনের। ভারতীয় সেনার নতুন হাতিয়ার ‘ফৌজি বাজপাখি’। পিছিয়ে নেই বেজিং-ও। ড্রোন হামলা রুখতে শি জিনপিয়ং দেশ হাতিয়ার করতে চলেছে ‘পাখি’-কে। দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ।প্রকৃত ঘটনাটি কী?
২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সীমান্তে শান্তি স্থাপনে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হলেও, বেশ কয়েটি ক্ষেত্রে মেলেনি সমাধান সূত্র। এ নিয়ে প্রায় উত্তেজেনা লেগেই রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শত্রু পক্ষের ড্রোন নজরদারি রুখতে নতুন হাতিয়ারের পরিকল্পনা নিয়েছে দুই দেশ।
নতুন পরিকল্পনাটি কী?
সম্প্রতি রাজস্থানে ভারত ও জাপান সেনাবাহিনীর একটি যৌথ সামরিক মহড়া হয়। মহড়া চলাকালীন দুই দেশের সেনা সামরিক দক্ষতা এবং প্রযুক্তির একটি নিদর্শন তুলে ধরেছে। শত্রু ড্রোন রুখতে তাতে ‘ঘুড়ি’ এবং ‘বাজপাখি’ ব্যবহার দেখা গিয়েছে। ড্রোন মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অর্জুন’ এবং ‘গভীর’ নামে দু’টি বাজপাখিকে সামনে এনেছে।
যৌথ মহড়ায় ওই বাজপাখি দু’টিকে কীভাবে ড্রোন মোকাবিলা করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, আগামী দিনে ড্রোন মোকাবিলায় এই ধরনের আরও বেশ কয়েকটা বাজপাখিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, ‘অর্জুন’ এবং ‘গভীর’ শত্রুপক্ষের ড্রোনের অবস্থান জানাতে সিদ্ধহস্ত।
অনেক উঁচু থেকে সহজে চিনতে পারে কোনটা শত্রুপক্ষের ড্রোন। শুধু ড্রোন নয়, শত্রুর বাঙ্কারের অবস্থান জানতেও ‘অর্জুন’ এবং ‘গভীর’-কে ব্যবহার করা হবে বলে সেনা সূত্রে খবর। এর আগে ২০২২ সালে শত্রু ড্রোনের উপর নজরদারির জন্য উত্তরাখণ্ডে মার্কিন সেনাবাহিনী সঙ্গে যৌথ মহড়ায় প্রথম বাজপাখিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ভারতীয় সেনা।
চিনের পরিকল্পনা কী?
ভারতের ‘ফৌজি বাজপাখি’-র পর চিনও ড্রোন মোকাবিলায় নতুন সামরিক প্রযুক্তি তৈরি করেছে। বেজিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পাখির আকারে ড্রোন তৈরির কাজে নিযুক্ত বলে খবর। সম্প্রতি চিনের একটি সংবাদমাধ্যমে এই নতুন ড্রোনের একটি নকশা প্রকাশিত হয়েছে।
চিনের সংবাদমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাখির আকৃতি ড্রোন নজরদারির পাশাপাশি লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম। বর্তমানে ড্রোন হামলা রুখতে অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এর প্রয়োগ দেখা গেছে। কিন্তু ভারতের ‘বাজপাখি’ এবং চিনের ‘পাখি’ সামরিক ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।