উত্তর প্রদেশে হাড়হিম কাণ্ড। স্বামীকে মদ খেতে নিষেধ করতেন স্ত্রী। প্রায়শই এনিয়ে বিবাদ-ঝামেলা লেগেই থাকতো। স্বামীর মদ খাওয়া মোটেও পছন্দ ছিল না স্ত্রীর। পথের 'কাঁটা' স্ত্রীকে স্ত্রীকে সরাতে চরম পদক্ষেপ বেছে নিল স্বামী। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেন তাঁর ৪০ বছর বয়সী স্ত্রীকে। উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁর ঘটনায় হইচই।ঘটনাটি কী?
এসপি অলোক প্রিয়দর্শনী জানিয়েছেন, মুন্নেশ সাক্সেনা রোজই মদ্য পান করতেন। সেই নিয়ে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। স্বামীকে মদ্য পান না করতে বারবার অনুরোধ করতেন স্ত্রী। তবে সেকথায় কর্নপাত করত না মুন্নেশ। এনিয়ে দু'জনের মধ্যে বহুবার আগেও অশান্তি হয়। বৃহস্পতিবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। ওই দিনও মদ্য পান করে বাড়ি ফেরে মুন্নেশ। বাড়ি ফিরেও মদ্য পান করার চেষ্টা করে। সেই সময় তাঁকে বাধা দেন তাঁর স্ত্রী সান্নো। রেগে-মেগে তখন স্ত্রী গায়ে মোটরবাইকের পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুন্নেশ। ছেলের এই কাণ্ড দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি মুন্নেশের মা তথা সান্নোর শাশুড়ি। বউমাকে বাঁচাতে যান তিনি। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সে সময় তাঁরও হাত পুড়ে যায়। মাকে জীবন্ত পুড়তে দেখে ভয় পেয়ে যায় মুন্নেশ-সান্নোর দুই সন্তান। দুইজনেই নাবালক। এক সন্তান সান্নির বয়স আট, অন্য়জন অর্জুনের বয়স পাঁচ। মায়ের এই অবস্থা দেখে তখনই পাড়াপড়শিদের ডাকে তারা। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দমকল ও পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাটি বদায়ুঁর মুজারিয়া থানার অন্তর্গত নাইথুয়া গ্রামের ঘটনা। স্থানীয়দের তৎপরতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সান্নোকে। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি সান্নোকে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে সান্নোর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর শাশুড়ির চিকিৎসা চলছে জেলার হাসপাতালে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক মুন্নেশ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারের কথায়, 'আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তকে খুঁজে বের করব। অভিযুক্ত কোথায় কোথায় যেতে পারে, সেই সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।'
গত বছর শেষের দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলায় কাম্বাডুরু গ্রামে প্রায় একই রকম একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। মদ কেনার জন্য টাকা দেয়নি মা। আর সেই ক্ষোভে মাকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার।