কালো ধোঁয়ায় ঢাকছে সৈকত শহর। দূষণের চোটে মুখে রুমাল দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানে নতুন সংকট। রাতের অন্ধকারে স্তূপাকৃত জঞ্জালে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে কেউ। আর তাতেই ধোঁয়ায় টেকা দায় দিঘায়।স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ দিঘার ঢেউ সাগরের পাশেই প্রতিনিয়ত গাদা গাদা জমা হচ্ছে প্লাস্টিক, পলিথিন এবং নোংরা আবর্জনা। আর রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে প্লাস্টিক থেকে নির্গত ধোঁয়া এলাকাকে দূষণ করছে বলে পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। প্রতিনিয়ত একাধিক ট্রাকটর কর জঞ্জাল বের হয় এই পর্যটনসহ দীঘায়। আর সেটাকে একটি পার্কের সামনে জমা করে রাখা হয়। তাই রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত সেখানে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া।
ধোঁয়ার আকাশে ঢাকছে গোটা দীঘা শহর। নজর নেই প্রশাসনের। আবার অনেকেই দুর্গন্ধে নাক চাপা দিয়ে যেতে হচ্ছে সমুদ্রে স্নান করতে। তবে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করে। দিঘার এই হাল হকিকত বা অস্বাস্থ্যকর অবস্থা কবে সুরাহা হবে সেই প্রশ্নই বারংবার সামনে আসছে। দীঘা রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। সেই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা ঘটছে। সেখানে এই ধরনের ঘটনা দিনের পর দিন হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, নোংরা-আবর্জনা গুলিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে।
প্রতিদিনই দিঘায় হাজার হাজার পর্যটক যাতায়াত করেন। উইকএন্ড-এ সংখ্যাটা আরও বাড়ে। গত কয়েক বছরে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা দিঘা শহরটাকে। আম্ফানের পর ফের নতুন করে সাজসজ্জার কাজ করা গিয়েছে দিঘায়। কিন্তু, চাকচিক্যের মাঝেও দূষণ ছড়াচ্ছে দিঘায়, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পর্যটকরা। দিঘায় আসা এক পর্যটক বলেন, ‘আমরা মাঝে মধ্যে দিঘায় বেড়াতে আসি। এবার এসে দেখছি এখানে জঞ্জালের স্তুপে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এভাবে তো গোটা এলাকায় দূষণ ছড়াবে। প্রশাসনের বিষয়টা একটু নজর দেওয়া সরকার।’ পাশাপাশি, এই জঞ্জালের কারণে আশেপাশের অঞ্চলে দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা। আগামী দিনে জঞ্জাল - আবর্জনার ফেলার জায়গাটিকে যাতে অন্যত্র সরানো যায়, সে ব্যাপারেই আবেদন জানিয়েছেন সকলে।