দইবড়াতে বিষক্রিয়া! অসুস্থ ফুড সেফটি অফিসার সহ ১২০ জন। ঘটনার জেরে বিক্ষোভ বোলপুরের মিষ্টির দোকানের সামনে। অভিযোগ, সুস্বাদু দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ১২০ জন। এর জেরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বোলপুরের একটি মিষ্টির দোকানের সামনে।অভিযোগ, দইবড়ায় বিষক্রিয়া থেকে একদিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ছোটবড় সকলে ৷ কেউ ভর্তি বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, কেউ মহকুমা হাসপাতালে , কেউ ভর্তি বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কেউ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। এমনকী, খোদ ফুড সেফটি অফিসার এই দোকানের দইবড়া খেয়ে অসুস্থ। তাই বিরাট ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বোলপুরে শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর জনপ্রিয় একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। নাম সর্বমঙ্গলা৷ গত ৫ মার্চ এই দোকান থেকে দইবড়া খেয়েছিলেন বহু মানুষ। এরপরই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসতে শুরু করে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত অনেকেই ৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়। জানা যায়, এই দোকানের দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ১২০ জন৷ তাঁদের মধ্যে কেউ বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি, কেউ বা বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি, কেউ বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি। অনেককেই দিতে হচ্ছে স্যালাইনও।
এমনকী, দইবড়া খেয়ে অসুস্থ খোদ বোলপুরের ফুড সেফটি অফিসার সঞ্জুয়ারা খাতুন৷ তিনিও বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এদিন, ক্ষুব্ধ বোলপুরবাসী ওই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সাটার নামিয়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
যদিও, দইবড়ার কারণে বিপত্তি ঘটার বিষয়টি স্বীকার করে নেন মিষ্টির দোকানের মালিক শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, 'আমি ক্ষমা চাইছি সবার কাছে। আমাদের ভুলেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যারা অসুস্থ তাদের ক্ষতিপূরণ দেব।'
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘমিত্রা ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু হাজরা বলেন, 'তিনদিন ধরে এত মানুষ অসুস্থ, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে, তাও মিষ্টির দোকানের মালিকের কোনও হেলদোল নেই। আমরা তাই আজ এসেছি। এত মানুষের দায় কে নেবে? ফুড সেফটি কোথায় শহরে?'
ওই দইবড়ার নমুনা সংগ্রহ করে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে শুধু তদন্তে না থেমে, সেই দোকানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।যে মিষ্টির দোকানের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেটি রয়েছে বোলপুরের সুপার মার্কেট বি কমপ্লেক্সে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের বিরুদ্ধে খারাপ মিষ্টি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবারের বিষয়টি গুরুতর।