সম্প্রতি এক গ্র্যান্ড ওয়েডিংয়ের সাক্ষী থেকেছে দেশ। কার কথা বলছি নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন? মুকেশ অম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে এক আলোচনার কেন্দ্রে। গুজরাটের জামনগরে বসেছিল তাঁদের বিয়ের আসর। তবে এই প্রতিবেদনে তাঁদের বিয়ে নয় আলোচনা করব অনন্ত আম্বানির ড্রিম প্রজেক্ট জামনগরের জু নিয়ে।গুজরাটের জামনগরে 'গ্রিনস জুওলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কিংডম' নামে ২৮০ একর এলাকা জুড়ে চিড়িয়াখানা ও প্রাণী উদ্ধার অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে। এই চিড়িয়াখানাটি অনন্ত আম্বানির পেট প্রজেক্ট। জামনগরের রিফাইনারির কাছেই রয়েছে এই চিড়িয়াখানাটি। কোমোডো ড্রাগন, চিতা, আফ্রিকার সিংহ-সহ প্রায় ১০০ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়, জানিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর অনন্ত আম্বানি।
কী কী রয়েছে চিড়িয়াখানায়?
অনন্ত আম্বানির চিড়িয়াখানার রয়েছে ১০০ প্রজাতির পশু-পাখি। রয়েছে একাধিক প্রজাতির সরীসৃপও। রয়েছে আফ্রিকান সিংহ, পিগমি জলহস্তী, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার্স, কমোডো ড্রাগনের মতো পশু। আলাদা আলাদা জায়গা রয়েছে প্রত্যেক প্রজাতির জন্য। চিড়িয়াখানায় রয়েছে ফ্রগ হাউস, ড্রাগনস ল্যান্ড, অ্যাকোয়াটিক কিংডম, ইন্ডিয়ান ডেজার্ট, এক্সটিক আইল্যান্ড ইত্যাদি।
বিশাল এই চিড়িয়াখানায় পশুদের দেখভালের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৩০০০ কর্মী। এই চিড়িয়াখানা সৌর বিদ্যুতে চলবে। পরিবেশ রক্ষাতে নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ উদ্যোগ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন চালু করেছে 'ভানতারা'( স্টার অফ দ্য ফরেস্ট) প্রোগাম। এই কর্মসূচিতে ভারত ও বিদেশে আহত, নির্যাতিত ও বিপন্ন প্রাণীদের উদ্ধার, চিকিৎসা যত্ন ও পুনর্বাসনের দিকে বিশেষ নজর দেোয়া হবে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের বোর্ড ডিরেক্টর অনন্ত আম্বানির নেতৃত্বে 'ভানতারা' উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 'ভানতারা' প্রকল্পের উধীনে গুজরাটের রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি কমপ্লেক্সের গ্রিন বেল্টের মধ্যে ৩০০০ একর জায়গাকে জঙ্গলের মতো পরিবেশে রূপান্তরিত করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে, এই কর্মসূচিতে উদ্ধার করা হয়েছে ২০০ টিরও বেশি হাতি এবং হাজার হাজার অন্যান্য প্রাণী, সরীসৃপ এবং পাখিকে। তাদেরকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটি গণ্ডার, চিতাবাঘ এবং কুমির সহ মূল প্রাণী প্রজাতির পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে। মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা ইত্যাদির মতো দেশেও উদ্ধারাভিযানে অংশগ্রহণ করেছে 'ভানতারা'। 'ভানতারা'-য় অত্যাধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক ভাবে ডিজাইন করা দিন ও রাতের এনক্লোজার, হাইড্রোথেরাপি পুল, জলাশয় এবং হাতিদের আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য একটি বড় এলিফ্যান্ট জ্যাকুজিও রয়েছে। এই কাজের জন্য নিযুক্ত রয়েছেন পশুচিকিৎসক, জীববিজ্ঞানী, প্যাথলজিস্ট, পুষ্টিবিদ এবং প্রকৃতিবিদ-সহ প্রায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ। শীঘ্রই জুলজিক্যাল পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।