যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল করার জন্য একাধিক গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এবার গড়িয়ার টিবি হাসপাতালকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হল। গড়িয়া টিবি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল। বেসরকারি হাসপাতালকে টেক্কা দিতে এবার হাসপাতালের খোলনলচে বদল করা হল।গড়িয়ার সেন্ট টেরেসা মেমোরিয়াল টিবি হাসপাতালে তৈরি হল ঝাঁ চকচকে ওয়ার্ড। সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো হাসপাতাল চত্বর। এক তলার ওয়ার্ডকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এবার সেই শয্যা সংখ্যাও অনেকটা বাড়ানো হল।
গড়িয়া টিবি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা কমে হয়েছিল ১২০। আগে এই হাসপাতালে ১৫০ বেশি শয্যা ছিল। চারিদিকে নোংরা আবর্জনায় ভরে থাকত। যা যক্ষা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরেই এই হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসতেন। কয়েক মাস আগেই হাসপাতাল সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়। হাসপাতালের ভেতরে পুর উদ্যোগে তৈরি হয়েছে নতুন তিনটি পার্ক। ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ সেগুলি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আলো দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বর।
এছাড়াও একতলার ওয়ার্ডে ২০টি শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুরসভার ১১১ নং ওয়ার্ডের এই হাসপাতালে রোগীদের সুস্থতার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। প্রতিদিন যাতে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা হয় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা হাসপাতালের চেহারা পাল্টে দেওয়ার কারণে অনেকটাই খুশি রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।
কিছুদিন আগেই যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সাহায্য করার জন্য কলকাতায় নোডাল কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। রাজ্যের টিবি সেলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে সিএমআরআই হাসপাতালে এই কেন্দ্র চালু করা হয়। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের স্থানান্তরিত করা বা সরকার দ্বারা সরবরাহকৃত ওষুধ বন্টনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, ৭০ শতাংশের বেশি টিবি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আসে সরকারি হাসপাতালে। তবে রাজ্যের সঙ্গে কাজ করার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। রাজ্যের টিবি সেল এই কাজ তত্ত্বাবধান করে। কলকাতার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টিবি হাসপাতাল হল এই গড়িয়ার সেন্ট টেরেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল। সেটিকে সাজিয়ে তোলার পদক্ষেপ খুশি পুর এলাকার বাসিন্দারাও।