• হোয়াটসঅ্যাপে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ, পাকিস্তানে যুবকের মৃত্য়ুদণ্ড
    এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৪
  • ধর্ম অবমাননা করে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। আর তার জন্য বড় শাস্তি পেতে হল তাদের। আপত্তিজনক ভিডিয়ো ও ছবি পোস্ট করার অভিযোগে আদালত ২২ বছর বয়সী এক পড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ১৭ বছরের আর এক পড়ুয়াকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে।ঘটনাটি কী?

    জানা গেছে, ২২ এবং ১৭ বছর বয়সী দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ করে পঞ্জাব প্রদেশের একটি আদালতে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। তাদের বিরুদ্ধে ওয়াটসঅ্যাপে এক বার্তায় নবি এবং তাঁর স্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর শব্দ প্রয়োগের দাবি করা হয়। মারাত্মক অভিযোগ ছিল ২২ বছরের পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। নবি ও তাঁর স্ত্রীদের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করে ফটো ও ভিডিয়ো তৈরি করেছিল সে। শুক্রবার সেই মামলায় ২ পড়ুয়াকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২২ বছরের পড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও, নাবালক হওয়ার জন্য ১৭ বছর বয়সীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত।

    আদালত কী বলেছে?

    রায় দিতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, ধর্মীয় অবমাননার জন্য দুই পড়ুয়াকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগ করেছে আদালত। যদিও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁদের আইনজীবীরা। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এদিকে, পঞ্জাব প্রদেশের রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পড়ুয়ার বাবা। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে লাহোর হাইকোর্টে আপিল করেছেন বলে এক বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।

    ঘটনার সূত্রপাত কবে?

    ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালে। শাস্তিপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির মোবাইলে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত একাধিক আপত্তিজনক বার্তা প্রেরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই ব্যক্তি লাহোরের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম বিভাগে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনটি আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর থেকে আপত্তিজনক ভিডিয়ো ও ছবি পাঠানো হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পঞ্জাব প্রদেশের একটি আদালতে করা হয়েছিল মামলা।

    পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

    ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আইনটি সংস্কার করে। সেই সঙ্গে ধর্ম অবমাননার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে আইনটিতে।
  • Link to this news (এই সময়)