Hardeep Singh Nijjar: কী ভাবে খুন খালিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর? প্রকাশ্যে ভিডিয়ো ফুটেজ
এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৪
গত বছর জুন মাসে কানাডায় খুন করা হয় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল তাকে। খুনের প্রায় এক বছর পর ঘটনার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে সেই ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল।
খালিস্তানি নেতা খুনের ফুটেজ প্রকাশ্যে
২০২৩ সালে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে একটি গুরুদ্বারের সামনে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের উপর হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তার। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছে পোস্ট।
ভিডিয়োটিতে কী দেখা গিয়েছে?
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে পোস্ট করা ভিডিয়োটিতে দেখা গেছে, একটি ধূসর রংয়ের ট্রাকের চালকের আসনে খালিস্তানি বিচ্ছন্নতাবাদী নেতা নিজ্জরকে বসে থাকতে। গুরুদ্বারের সামনে একটি পার্কিং লট থেকে ট্রাকটি ছাড়তেই, একটি সাদা রংয়ের সেডান গাড়ি নিজ্জরের পথ আটকে দাঁড়ায়। এরপর হুডি পরা অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সেডান গাড়ি থেকে নেমে, নিজ্জরের দিকে এগিয়ে যেতে। লাফ দিয়ে উঠে পড়ে ট্রাকে। এরপর গুলি করে নিজ্জরের শরীর ঝাঁঝরা করে দেয়। এরপর তাদের সেডান চড়ে চলে যেতে দেখা গিয়েছে ভিডিয়োটিতে।দেখুন ভিডিয়ো
প্রত্যক্ষদর্শী কী বলেছিলেন?
খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা নিজ্জরকে খুনের সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ফুটবল খেলছিলেন ভূপিন্দরজিৎ সিং সিধু। সেই সময় ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, গুলির শব্দ শোনার পর প্রথমে তিনি খেয়াল করেননি। ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটানো হচ্ছে। কিন্তু পরে দুই ব্যক্তিকে দেখেছিলেন নিজ্জরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে। এই সময় ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন ভূপিন্দরজিৎ সিং সিধু। তাঁকে আসতে দেতে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ভারত-কানাডা কূটনীতিক সম্পর্কে প্রভাব
খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর ভারত সরকারের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল। ভারতে একাধিক নাশকতা ঘটনায় নিজ্জরের জড়িত থাকার প্রমাণ ছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাতে। ২০২০ সালে দিল্লি নিজ্জরকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার খুনে ভারত যোগের অভিযোগ করে গত বছর সরব হয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ সংক্রান্ত প্রমাণ রয়েছে বলে কানাডা পার্লামেন্টে করেছিলেন দাবি। এরপরেই কানাডা থেকে এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। ট্রুডোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সরব হয় দিল্লি। কানাডার মাটিকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে ট্রুডো সরকার মদত দিচ্ছে বলে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছিল। ভারত এক কানাডা কূটনীতিককে করেছিল বহিষ্কার। পরবর্তীকালে আরও বেশ কয়েকজন কানাডা কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ভারত।