দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হয়েছে মহাশিবরাত্রি। দেশের নানা শক্তিপিঠ এবং জাগ্রত মন্দিরগুলিতে শিবের মাথায় জল ঢালতে উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়। সকাল থেকে নির্জলা উপোস করে শেষ প্রহরে শিবের পুজো দিয়েছেন সকলে। এই দিনটিতে গঙ্গায় পুণ্যস্নানও করেছেন ভক্তরা। লাখ লাখ মানুষ ডুব দিয়েছেন গঙ্গায়। সংখ্যাটা জানলে চমকে যাবেন আপনিও।প্রয়াগরাজের পবিত্র গঙ্গায় মহাশিবরাত্রিতে ডুব দিয়েছেন ৯ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। প্রয়াগরাজের মেঘ মেলা মাসের এটিই ছিল শেষ পুণ্যস্নান দিবস।
মেঘ মেলা কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে গঙ্গায় ডুব দেওয়ার পালা শুরু হয়েছিল। চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান ভাগ্যের বিষয় বলেই মনে করছেন ভক্তরা।
ফুল-মালা, দুধ নিয়ে পুজো দিয়েছে শিবভক্তরা। এলাহাবাদ শহরের একাধিক শিব মন্দিরে থিকথিকে ভিড় ছিল মহাশিবরাত্রিতে। নির্জলা উপোস শেষে শিবলিঙ্গে দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে অভিষেক রীতি পালন করেছেন ভক্তরা।
এদিন ভক্তদের রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের কথা মাথায় রেখে গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ৬ হাজার ৮০০ ফিটের ঘাট এলাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার করা হয়েছিল মোট ১২টি ঘাটে। সমস্ত ঘাটেই ভক্তদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
তীর্থক্ষেত্রের পুরোহিত রাজেন্দ্র মিশ্র বলেন, 'হিন্দুরা বিশ্বাস করেন মহাশিবরাত্রির দিনই ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এইদিনই বাবা ভোলানাথকে বেলপাতা, ধুত্র, আবির দিয়ে পুজো করা হয়। শুক্রবার রাত ৯টা বেজে ৫৭ মিনিটের পর শিবরাত্রির পুজোর সময় শুরু হয়েছে। ওই সময় থেকেই বাবার মাথায় জল ঢালতে উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়।'
প্রয়াগরাজের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজীব নারায়ণ মিশ্র বলেন, 'মহাশিবরাত্রির পুজোর জন্য গোটা শহর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। বিভিন্ন মন্দিরগুলির সামনে বিশেষ বন্দোবস্ত করা করা হয়। মানকামেশ্বর, সোমেশ্বর মহাদেব এবং নাহবাসুকী মন্দিরের সামনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়। পার্কিংয়ের জন্যও আলাদা বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল।'