• শিলিগুড়িতে মোদী-অভিজিৎ কথোপকথন? মুখ খুললেন প্রাক্তন বিচারপতি
    এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৪
  • শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সকালেই তিনি উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন। শনিবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরা বিমান বন্দরে নামেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ হয়নি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এদিনের সভার পর কি কোনওভাবে মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে?এদিন সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সেই সুযোগ বা পরিসর হয়তো পাওয়া যাবে না। যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে নিশ্চই বলব।’ যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, মোদীর সঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একান্ত সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

    উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছিলেন। এদিকে তিনি বিচারপতি থাকাকালীনই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচারপতি পদে বশে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন।

    সেই সুযোগ বা পরিসর হয়তো পাওয়া যাবে নাবিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    এদিকে গত রবিবার তিনি একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। এরপরেই তিনি রাজনীতিতে যোগদানের কথাও জানিয়েছিলেন। কোন রাজনৈতিক দলে তিনি যোগদান করবেন সেকথা অবশ্য স্পষ্ট করে জানানি।

    অবশেষে ৭ তারিখ তিনি সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে যোগদান করেন বিজেপিতে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাঁর তৃণমূলে যোগদান বলে জানিয়েছিলেন। যদিও রাজ্যের শাসক দলের তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়, প্রথম থেকেই তিনি পক্ষপাত দুষ্ট ছিলেন।

    'কুণালবাবুকে আমার ভালো লেগেছে' মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    জোর গুঞ্জন তিনি নাকি তমলুক কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন। এমনকী, তাঁর নাম ঘোষণার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল দেওয়াল লিখন। এরপর থেকেই জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। এদিন তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য এড়িয়ে যান অভিজিৎ। তিনি বলেন, ‘ এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। দল এই সিদ্ধান্ত নেবে। যদি দল মনে করে সেক্ষেত্রে আমি ভোটে লড়ব। দল যদি অন্য দায়িত্ব দেয় তবে তা পালন করব।’

    অর্থাৎ তিনি আদৌ প্রার্থী হচ্ছেন কিনা, সেই প্রসঙ্গে জল্পনা জিঁইয়ে রেখেছেন তিনি। এখন দেখার আজকে কি মোদীর সঙ্গে তাঁর একান্তে কোনও কথা হবে!
  • Link to this news (এই সময়)