লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। এবার তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় নন্দীগ্রামের দুই বিজেপি নেতাকে বহিষ্কার করল দল।
গত ৬ মার্চ তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রস্তুতি সভা শেষ করে মহেশতলা হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের অশোক দাস ও ভরত দাস। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় তাঁদের মারধর করেন BJP-র দুই নেতা কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল এবং গোপাল প্রধান। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দুই তৃণমূল নেতাকে নন্দীগ্রামের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ধরনের ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দুঃখ প্রকাশ করে আহতদের পাশে দাঁড়ায়।শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল বলেন, 'গত ৬ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মহেশপুরে একটি সভা ছিল। সেই সভা থেকে কিছু প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখা হয়। ওই সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় আমাদের দলের দুই জন কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল এবং গোপাল প্রধানের জন্য তৃণমূলের অশোক দাস এবং ভরত দাস আহত হয়েছিলেন।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের নেতৃত্ব ওই দিনই হাসপাতালে যায়, তাঁদের দেখভাল করে, ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে কথা বলেছে। এই সৌজন্যবোধ আমাদের দলের রয়েছে। কিন্তু, এরা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন বলে সামনে এসেছে। তাই তাঁদের আমরা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
এই ঘটনায় জেলা বিজেপির অন্দরেও ফিসফাস শুরু হয়েছে। এই কড়া পদক্ষেপের ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য বার্তা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে BJP-র এই পদক্ষেপের পালটা সরব হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অসিতবরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'এই সমস্ত বিষয় এখন লোক দেখানো নাটক। চাপে পড়ে এই সব পদক্ষেপ করার কথা বলা হচ্ছে। দোষীদের সেক্ষেত্রে পুলিশের হাতে তুলে দিল না কেন?'
তিনি আরও বলেন, 'দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। সততা দিয়ে এবং মানুষের জন্য কাজ করার জন্য লড়াই করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভোটের আগে শুধু রাজনীতিই করে যাচ্ছে BJP। তাই এই সমস্ত লোক দেখানো কাজ করছে।' সবমিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা রাজনীতির অন্দরে। শুধু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।