Jono Gorjon: শনির বিকেলে ব্রিগেডে, 'জনগর্জন'-এর প্রস্তুতি চাক্ষুষ অভিষেকের
এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৪
আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। ব্রিগেডের একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। তৃণমূলে তৎপরতা তুঙ্গে। শনিবার বিকেলে ব্রিগেডে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হাতে ম্যাপ নিয়ে মঞ্চের সমস্ত দিক ঘুরে দেখেন।জমায়েতের জায়গা থেকে শুরু করে অন্যান্য দিক ঘুরে দেখেন। বৃহস্পতিবার ব্রিগেডে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অবশ্য মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছিল। এরপর ৪৮ ঘণ্টায় ধাপে ধাপে কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। শনিবার বিকেলে সেখানে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পাশাপাশি সেখানে দেখা যায় কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাস, অপরূপা পোদ্দারকে।
এবার তৃণমূলের ব্রিগেডে আলাদা করে একটি র্যাম্প করা হয়েছে। এর উপর দিয়ে হেঁটেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সমস্ত আয়োজন খতিয়ে দেখেন দলের সেনাপতি। মাইক্রোফোন হাতে পরীক্ষা করেন আওয়াজ। এদিন যাঁরা মাঠে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের জন্য জয় বাংলা স্লোগানও তোলেন তিনি।
এইবারের ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজনে সামান্যতম খামতি রাখতে নারাজ তৃণমূল। তিনটি ভিডিয়ো ওয়ালের ব্যবস্থা থাকছে। এর নীচে লেখা থাকবে, জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন, তৃণমূলই করবে অধিকার অর্জন। মূলত এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ১০ তারিখ হুংকার দেবেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। জনগর্জন সভার জন্য গড়া হয়েছে তিনটি মঞ্চ। একটি মূল মঞ্চ গড়া হয়েছে। সেটির আকার অপেক্ষাকৃত বড়। পাশের দুটি ছোট মঞ্চ। সামনে রয়েছে আরও দুটি ছোট মঞ্চের বন্দোবস্ত।
ব্রিগেডে বক্তাদের বক্তব্য যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেই জন্য হাজার হাজার লাউড স্পিকার লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে লোকসভার প্রচার শুরু করে দিয়েছে BJP। মোট চারটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, ৪২টি আসনের মধ্যে সবকটিই দখলে রাখার হুংকার শোনা গিয়েছে নমোর কণ্ঠে।
স্বাভাবিকভাবেই জনগর্জন সভা থেকে পালটা জবাব দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি কোন কোন ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবে তৃণমূল, তাও স্পষ্ট হতে পারে এই দিনের সভা থেকে। এক মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়- ১০ মার্চের ব্রিগেড বঙ্গ রাজনীতিতে কী ট্যুইস্ট অ্যান্ড টার্ন নিয়ে আসে, এখন তাই দেখার।