Covid-19 : এক বছর পর্যন্ত রক্তে মিশে থাকতে পারে করোনাভাইরাস! গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৪
কোভিড নিয়ে আতঙ্কের কথা শোনালেন একদল গবেষক। কোভিডকে জয় করার পর এক বছরের বেশি সময় ধরে শরীরে থাকতে পারে এর জীবাণু। গবেষকদের মতে, এতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার থাকে আশঙ্কা। কোভিডকে জয় করার পরেও যদি উপসর্গ দেখা দেয়, সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন।
কী বলেছেন গবেষকরা?
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক পরীক্ষার পর জানিয়েছেন, কোভিডে আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হলেও, জীবাণু থেকে যেতে পারে। এরপরেও হজম সহ একাধিক সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় আক্রান্তকে। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাঁদের মতে, কোভিডকে জয় করার পরেও যদি শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।রক্তের নমুনা পরীক্ষা
কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও শরীরে যে জীবাণু থাকতে পারে, তা প্রমাণ করার জন্য আক্রান্তদের রক্তপরীক্ষা করেছিলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। মোট ১৭১ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার ১৪ মাস পরেও বেশ কয়েকজনের শরীরে কোভিড স্পাইক প্রোটিনের সন্ধান পাওয়া যায়।
পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে যাঁদের শরীরে কোভিডের জীবাণু মিলেছে, তাদের অধিকাংশ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যাঁরা বাড়িতে ছিলেন, এমন বেশ কয়েকজন শরীরেও মিলেছে এই রোগের জীবাণু।তবে যে সমস্ত কোভিড আক্রান্তের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাঁরা দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কয়েকটি নমুনায় গবেষকরা দেখেছেন, ভবিষ্যতে ফের কোভিড আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের।
ফুসফুসে বাসা বাঁধতে পারে কোভিড জীবাণু
কোভিড নিয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে ফরাসি গবেষকদের একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে বলা বয়েছে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার দুই বছর পর্যন্ত জীবাণু থেকে যেতে পারে ফুসফুসে। সমীক্ষায় জানা গেছে, আক্রান্তের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসনালীর ভিতর এমনভাবে কোভিড জীবাণু লুকিয়ে থাকে, তাকে শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে, তবেই কোভিড জীবাণুর বাসা বাধার প্রবণতা থাকতে পারে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোভিডকে নিয়েই আগামী দিন বাঁচতে হবে বিশ্বের মানুষ। গবেষকদের পরীক্ষার ফল, তাতে সিলমোহর দিল বলে মনে করছেন কোভিড বিশেষজ্ঞরা।