ভোর ৪টে থেকে লম্বা লাইন! চোখের নিমেষে হাঁড়ি খালি, এই দোকানের বিরিয়ানি চেখে দেখেছেন?
এই সময় | ০৯ মার্চ ২০২৪
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক-দোসর বিস্কুট হলে মন্দ হয় না। সকাল বেলা চায়ের দোকানে সামনে লাইন 'কমন'। তবে ভোর হতে না হতেই বরং বলা যেতে পারে মধ্যরাত থেকে বিরিয়ানি কিনতে লাইন? এমনও হয় নাকি? হয় বৈকি আলবাত হয়!বিরিয়ানির নাম শুনলেই জিভে জল চলে বটে। মুখে চলে আসে একরাশ হাসি। আট থেকে আশি সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই বিরিয়ানি। তবে, দাঁত ব্রাশ করার আগে, চা-টা না খেয়েই মুখে বিরিয়ানি গ্রাস, একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে তাই না? মনে হলেও এটাই সত্যি। রাতের খাবার কিংবা দুপুরের খাবারে বিরিয়ানি বহু মানুষেরই পছন্দের। বিরিয়ানির দোকান খোলে মোটামুটি দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত। মধ্যাহ্ন ভোজ কিংবা নৈশভোজ বিরিয়ানি অনেকেরই পছন্দের তালিকায়। তবে কাকভোরে কোনও বিরিয়ানির দোকান খুলে যায় এমন শুনেছেন কি? খোলেও বা যদি তখন বিকোবে তো? এমন হাজার প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে নিশ্চই মনে? উত্তর জানলে অবাক হবেন। এদোকানে বিরিয়ানি তৈরি হয় দুুপুর বা সন্ধ্যেবেলা নয়, বরং মাঝরাত থেকেই। কাকভোরে দোকান খুলতে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সব সাবার। এই প্রতিবেদনে এমন এক বিরিয়ানি দোকানের সন্ধান দেব যেটি খুলে যায় কাকভোরে। আর সেই কাকভোরেই দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ে। চায়ের চুমুক নয়, বিরিয়ানি দিয়েই হয় দিন শুরু।
কোথায় রয়েছে এই দোকান?
ভোরবেলা থেকে হায়দরাবাদের মাধপুরের রাস্তাঘাট ম ম করে বিরিয়ানির গন্ধে। চায়ের দোকানে ভিড় তো হয়ই, তা হওয়া স্বাভাবিক। তবে কাকভোর থেকে নজরকাড়া লাইন পড়ে যায় এক ছোট্ট বিরিয়ানির দোকানের সামনে। গোটা দেশেই কদর করে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। কেউ কেউ আবার বলেন নিজামের দেশের বিরিয়ানি একবার চেখে দেখলে অন্য জায়গার বিরিয়ানি মনে ধরে না। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেচছে এমন এক বিরিয়ানির দোকান যেটি খুলে যাচ্ছে ভোর ৪টে থেকে। আর সেই সময় থেকেই সেখানে থিকথিকে ভিড়।
স্টল মালিকের সঙ্গে কথাবার্তা বলে জানা গেল, মাঝরাত থেকেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। ঘড়ির কাঁটায় ৪টে বাজতেই দোকান খোলে। খদ্দেরদের সামনে গরমা গরম বিরিয়ানি নিয়ে হাজির দোকানের কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব সাবার। মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই বিরিয়ানি বড় বড় হাঁড়ি এক্কেবারে খালি।
হায়দরাবাদের বিরিয়ানির অন্যতম 'হটস্পট' 'শান্থাস ফোর এএম বিরিয়ানি'-র নাম এখন মুখে মুখে ঘোরাফেরা করছে। এক চিলতে দোকান। আসল নাম 'শান্থাস বিরিয়ানি'। মাঝের এই 'ফোর এএম'-এর সংযোজন অবশ্য ক্রেতাদের কল্যাণেই। আর পাঁচটা দোকানের থেকে এই দোকানের 'টাইমিং' এক্কেবারে আলাদা। তাই আলাদা করে এই দোকানকে চিহ্নিত করতে নতুন নামেই ডাকছেন তাঁরা। বিরিয়ানির দোকানটি খোলা থাকে ভোর চারটে থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত। দোকান মালিক রাহুলের কথায়, 'মধ্য রাতে বিরিয়ানি রান্না শুরু করা হয়। ভোটর ৪টেতে খোলে দোকান। সকাল ৮টার মধ্য়ে বিকিয়ে যায় সব।'