শব্দ নিয়ে জাগলিংয়ে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কঠিন থেকে কঠিনতর, দাঁতভাঙা ইংরেজি শব্দ গড়গড় করে বলেন তিনি। বিতর্কসভা হোক, রাজনৈতিক মঞ্চের ভাষণ কিংবা সংসদের বক্তব্য, শশী থারুরের বিকল্প নেই। এবার জন্মদিনে জানা গেল তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা। মার্কশিটের নম্বর দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনার।শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে কংগ্রেসের ২০২৪ লোকসভা ভোটের প্রথম প্রার্থীতালিকা। ৩৯ জনের তালিকায় নাম রয়েছে শশী থারুরের। নিজের সংসদ কেন্দ্র তিরুঅনন্তপুরম থেকেই ফের লড়ছেন তিনি। লোকসভা ভোটে জয়ের পরিসংখ্যান কত হবে তা নিয়ে কাটাছেঁড়ার মাঝেই শনিবার তাঁর জন্মদিনে জানা গেল কংগ্রেসের 'এলিট' নেতার মার্কশিটের নম্বর।
স্কুলে কত নম্বর পেয়েছিলেন থারুর?শশী থারুর একবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন স্কুলের মার্কশিট। কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা করতেন তিনি। অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ছিলেন তাঁর সহপাঠী।
শশীর কথায়, 'ছেলেবেলায় পরীক্ষা দিতে আমি বেশ ভালোবাসতাম।' আর তার প্রমাণ রয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্সের পরীক্ষার মার্কশিটে। স্কুলের সেকশন বি-র ছাত্র শশীকে দেওয়া হয়েছে জেনারেল প্রোএফিশিয়েন্সিতে প্রথম পুরস্কার। মরাল সায়েন্সে ৪০০-এ ৩৩৪, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজে ৮০০-এ ৬১৪, ইংরেজি সাহিত্যে ৪০০-এ ৩৩৮, ইতিহাসে ৪০০-এ ২৩৮, কমার্শিয়াল স্টাডিজে ৬০০-এ ৪৫০, জেনারেল সায়েন্সে ৪০০-এ ৩৩৩ এবং ইলোকিউশনে ২৪৮।
কংগ্রেসের এই সাংসদ জন্মেছিলেন লন্ডনে। তবে বেড়ে ওঠা স্বদেশেই। আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস, কূটনীতি, রাজনীতি এবং লেখণীতে খুরধার মস্তিষ্ক শশী থারুরের। ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি প্রথমসারির নেতা। ২০০৯ সালে থেকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ।
কোথায় শিখেছেন দাঁত ভাঙা ইংরেজি?শশী থারুরকে চলতা ফিরতা অক্সফোর্ড ডিকশনারি বলা হয়। তাঁকে এমন তকমা দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁর উচ্চারিত ইংরেজি শব্দগুলি অক্সফোর্ড নতুন করে চিহ্নিত করে অভিধানে যুক্ত করে। এমনটাও মনে করেন তাঁর অনুগামীরা। থারুরের শব্দবন্ধ উচ্চারণে দাঁত ভেঙে যাওয়ার জোগাড় হয় বলেও মত কিছু মানুষের। সকলেই জানতে উৎসুক, এত কঠিন দাঁতভাঙা ইংরেজি শব্দবন্ধ কী ভাবে শিখেছেন শশী থারুর? এই রহস্যের খোলসা তিনি নিজেই করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি পড়তে পড়তেই এমন ইংরেজি শিখেছি। ৫০ বছর আগেকার কথা, তখন আমি সেন্ট স্টিফেন কলেজে পড়তাম। সেখানে সকলেই ভালো ইংরেজিতে কথা বলতেন। এখন রাজনৈতিক বিতর্কসভায় যে ধরণের শব্দ ব্যবহার করে আমি চর্চিত হই, এই ইংরেজি তো আমি কলেজ ডিবেটেও বলতাম। নতুন তো কিছু নয়। অবাক হওয়ারও কোনও কারণ নেই।'