১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার আগেই স্বেচ্ছাবসর নিলেন IPS প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন, তা গ্রহণও করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি নিজে কোনও মন্তব্য করেননি।উল্লেখ্য, তিনি প্রোমোটি IPS ছিলেন। মালদায় CID-র স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি দুই বার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পুলিশ সুপার পদের দায়িত্ব সামলেছেন। বালুরঘাট বা রায়গঞ্জ এলাকা তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। কর্মসূত্রেই তিনি এই জায়গা চেনার সুযোগ পেয়েছেন।
তিনি একটি সিরিয়ালে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন। আর এই সিরিয়ালে অভিনয় করার জন্য বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করতে পারেন।
উল্লেখ্য, এর আগে IPS-দের রাজনীতিতে যোগদানের নজির রয়েছে। অতীতে চন্দননগরের কমিশনার থাকাকালীন হুমায়ুন কবীর চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবং তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভোটে জিতে মন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, অতীতে রচপাল সিংকেও প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সেই সময় তারকেশ্বর থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে।
২০১১ ও ২০১৬ সালে হুগলির তারকেশ্বর কেন্দ্রের বিধায়ক হন। শুধু তাই নয়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি হুগলির পর্যটন এবং পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী হিসেবে কার্য নির্বাহ করেন। এরপর রাজ্য পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পদও পান তিনি।
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একাধিক ট্যুইস্ট অ্যান্ড টার্ন আসতে পারে বলে মতামত রাজনৈতিক মহলের। জোর গুঞ্জন, এই প্রাক্তন IPS নাকি যোগদান করতে পারে একটি রাজনৈতিক দলে। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার জল্পনাও তুঙ্গে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১০ মার্চ তৃণমূল ব্রিগেড ময়দানে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছেন। এই সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনে কর হচ্ছে এমনটাই। কোন কোন বিষয় সামনে রেখে লড়াই করা হবে লোকসভা নির্বাচনে? লক্ষ্যমাত্রাই বা কত? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব এদিনের মঞ্চে পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সূত্রের খবর, এদিনের মঞ্চে একাধিক চমক থাকতে পারে। ১০ তারিখের দিকে এখন তাকিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।