• Space Debris: মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিরাট-বিরাট ব্যাটারি! বিপদের আশঙ্কা?
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
  • ঘনিয়ে আসছে বিপদ? মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে আছড় পড়বে বড় বড় ব্যাটারি? নেহাতই আশঙ্কা নাকি সত্যি? ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি নয়টি ব্যাটারিকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে। সেবার ওই ব্য়াটারিগুলিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল স্পেস স্টেশন থেকে। বাতিল হওয়া সেই ব্যাটারিগুলি ধেয়ে আসতে চলেছে পৃথিবীর বুকে। পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে বড় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে?খুব শীঘ্রই ওই ব্যাটারিগুলি পৌঁছবে পৃথিবীর উপরে থাকা বায়ুমণ্ডলে। বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে অবশ্য পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কথা। ব্যাটারিগুলির ভর ২.৬ মেট্রিক টন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, 'ব্যাটারিগুলির বেশির ভাগ অংশ বায়ু মণ্ডলের প্রবেশের সময় পুড়ে যাবে। তবে কিছু অংশ মাটিতে আছড়ে পড়লে তাতে হতাহতের ঝুঁকি কম।' কারণ ব্যাটারির খুব সামান্য অংশই ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ব্যাটারিগুলি যে খুব শীঘ্রই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির 'দ্যা স্পেস ডেবরিস অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট সেফটি অফিসেস'। তারাই জানিয়েছে পৃথিবীর কোন দিক দিয়ে এই ব্য়াটারিগুলি ধেয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ESA জানিয়েছে, 'ওই ব্য়াটারিগুলির পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশ করবে -৫১.৬ ডিগ্রি দক্ষিণ ও ৫১.৬ ডিগ্রি উত্তরে। তবে এই অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।' পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলেই বায়ুর ঘর্ষণে মুখোমুখি হবে ব্যাটারাগুলি। সেকারণে সেগুলি পুড়ে যাওয়ার কথা। প্রতি সপ্তাহে মোটামুটি একবার হলেও স্পেস অবজেক্ট (মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসা বস্তু কোনও যন্ত্রাংশ) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ভূপৃষ্ঠে পৌঁছনোর আগেই সেগুলির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে ছাই হয়। বেশির ভাগ মহাকাশযান অথবা উৎক্ষেপণ যান এমন ভাবেই তৈরি করা হয় যাতে সেগুলির বাতিল অংশ যখন আবার যখন পৃথিবীতে প্রবেশ করবে তখন যেন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। মহাকাশযানগুলির অংশ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় খেয়াল রাখা হয় সেদিকে।

    উল্লেখ্য়, বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় নয় হাজার উপগ্রহ রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ হাজার উপগ্রহ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর উপগ্রহ এতো বেশি থাকায়, মাঝে মধ্যে ঘর্ষণের ফলে স্যাটেলাইট ভেঙে প্রচুর আবর্জনা জমা হতে থাকে। তখন সেগুলিকে পৃথিবীর দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
  • Link to this news (এই সময়)