• ‘পিকনিক করতে এসেছেন’, মোদীর সভা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
  • রাজ্যে চতুর্থবারের জন্য লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুগলি, বারাসত, কৃষ্ণনগরের পর আজ উত্তরবঙ্গ সফরে মোদী। শিলিগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের সবকয়টি আসনে জেতার বার্তা দিয়ে যান তিনি। এরপরেই কটাক্ষ উড়ে আসে তৃণমূলের তরফে। রাজ্যে ‘পরিযায়ী পাখি’ হয়ে তিনি ভোটের আগেই প্রচারে এসেছেন বলে দাবি তৃণমূলের।শিলিগুড়িতে শনিবার সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের জনসভা থেকেও তাঁর নিশানায় ছিল রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গ। মোদীর বক্তৃতায় উঠে আসে রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। পালটা তৃণমূলের নব নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘ মোদী আজ ফের বাংলায় সভা করতে এসেছেন। ২০২১ সালের পর থেকে তিনি একদিনও বাংলায় আসেননি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তিনি বাংলায় বক্তৃতা দিতে এসেছেন।’

    সুস্মিতা দেব টেনে আনেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা। বাংলায় প্রায় ৫৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেও তাঁর প্রাপ্য অর্থ পাননি। সেই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনও কথা উল্লেখ না করায় সমালোচনা করেন তৃণমূলের সাংসদ। তাঁর কথায়, এই শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অর্থ প্রদান না করা হলেও রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ প্রদান করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলায় এসেছেন মৌসুমী পাখি হয়ে পিকনিক করতে। তার দীর্ঘ বক্তৃতা কোন ব্যাপার না, বাস্তবতা হল তিনি বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছেন।’

    উল্লেখ্য, আগামীকাল রবিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের বিরুদ্ধেই ‘জনগর্জন’ সভার আয়োজন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেড মাঠে বিরাট সমাবেশের আয়োজন করছে তৃণমূল। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের অভিমুখ ঠিক করতে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবারের সভা থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে আওয়াজ তোলা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Link to this news (এই সময়)