• চলন্ত গাড়িতেই কচিকাঁচাদের পড়াশোনা, বাঁকুড়ায় মোবাইল পাঠশালা
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
  • ক্রমে ক্রমে বাঁকুড়া জেলায় বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। আর সেই স্কুল ছুটের সংখ্যা এখন বড়সড় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এবার তাই স্কুলছুটের পরিমাণ কমাতে অভিনব উদ্যোগ। স্কুল ছুটের সংখ্যা কমাতে মোবাইল পাঠশালার উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা: সুভাষ সরকার। এদিন বাঁকুড়া শহরের একটি বেসরকারি লজে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। একটি সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন হল।এই প্রসঙ্গে সুভাস সরকার বলেন, 'বর্তমানে বাঁকুড়া - পুরুলিয়ায় স্কুল ছুটের সংখ্যা খুব বেড়েছে। এমনকী জাতীয়স্তরেও এরা একটা জায়গা পেয়ে গিয়েছে। জাতীয় মানদণ্ডে বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় নাম দেখা যাচ্ছে। তাই আমার লোকসভা কেন্দ্রে যাতে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমে, যে সমস্ত প্রত্যন্ত গ্রামের বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে না, সেই সমস্ত স্কুলছুট বাচ্চাদের, পড়াশোনার আগ্রহ তৈরি করার জন্য, এই গাড়িতে তুলে ২ -৩ দিন পড়াশোনা করানো হবে। তারপর স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে। আবার স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয় হবে। এখানে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা থাকছে। টিভির মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারতে পারবে।'

    বর্তমানে বাঁকুড়া - পুরুলিয়ায় স্কুল ছুটের সংখ্যা খুব বেড়েছে। এমনকী জাতীয়স্তরেও এরা একটা জায়গা পেয়ে গিয়েছে। জাতীয় মানদণ্ডে বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় নাম দেখা যাচ্ছে।সুভাষ সরকার

    প্রসঙ্গত, স্কুলছুটের পরিমাণ কমাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্কুলে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেমন, স্কুল ছুট রুখতে গতবছর এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার পানাগড় বারুই পাড়া মেটে পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেবল মনীষীদের জন্মদিন পালন নয়, পড়ুয়াদের ধরে রাখতেও বিশেষ উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। স্কুলে প্রতিটি পড়ুয়ার জন্মদিন রীতিমতো আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন শুরু হয়

    তার জন্য ক্লাসরুম বেলুন দিয়ে সাজিয়ে গান গেয়ে ছড়া বলে চলে ক্ষুদে পড়ুয়াদের জন্মদিনের উদযাপন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে চলে মিষ্টিমুখ। একইসঙ্গে হয় চকলেট বিতরণও। স্কুলছুটের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি যেসব ছাত্রছাত্রীর স্কুলের আসার প্রতি অনীহা রয়েছে, তাঁদেরকে স্কুলমুখী করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

    জানা যায়, স্কুলের শিক্ষিকারাই উদ্যোগ নিয়ে গোটা ব্য়বস্থা করেন। আর শুধু তাই নয়, আবার পড়ুয়াদের জন্মদিন পালনের খরচও শিক্ষিকারা নিজেদের বেতন থেকেই বহন করা শুরু করেন। ওই বিষয়ে শিক্ষিকাদের জানিয়েছিলেন, স্কুল তাঁদের কাছে পরিবারের মতো এবং স্কুলের খুদে পড়ুয়ারাও তাঁদের কাছে নিজেদের সন্তানসম। তাই সেই পড়ুয়াদের মুখে হাসি ফোটাতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। এর ফলে স্কুলছুটের পরিমাণ কমবে বলেই আশাবাদী ছিলেন তাঁরা।
  • Link to this news (এই সময়)