এই সময়: সল্টলেকের অনেক বাসিন্দার বাড়িতেই পোষ্য সারমেয় রয়েছে। সল্টলেক, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রাজারহাটের বাসিন্দাদের মধ্যে এই প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু পোষ্যদের চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই ওই তল্লাটে। যে ক’টি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, তা বেশ খরচসাপেক্ষ।সমাধানে পোষ্যদের জন্য হাসপাতাল গড়ছে বিধাননগর পুরনিগম। এই নয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৩ নম্বর সেক্টরে একটি জায়গাও দিয়েছে কেএমডিএ। কুকুরদের চিকিৎসা দিয়ে শুরু হবে হাসপাতালের পরিষেবা। ধাপে-ধাপে অন্য পোষ্যদেরও চিকিৎসা মিলবে অল্প খরচে।
পুরনিগমের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে পোষ্যদের জন্য হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, এই হাসপাতালে ওপিডি চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। অপারেশন থিয়েটার, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে শুরু করে পোষ্যদের জন্য এক্স-রে মেশিন ও প্যাথোলজিকাল বিভাগও থাকবে।
পুর-কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সল্টলেকের বাসিন্দা সংগঠন বিধাননগর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য কুমারশঙ্কর সাধু। তিনি বলেন, ‘সল্টলেকের অধিকাংশ বাড়িতেই কুকুর রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা কেন্দ্র হলে অনেকেই উপকৃত হবেন।’
২০১৫ সালে পুরসভা থেকে পুরনিগম হয়েছে বিধাননগর। কিন্তু এখনও ডগ পাউন্ড বা পথকুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়নি বিধাননগরে। বর্তমানে একটি মাত্র সরকারি হাসপাতালে রয়েছে কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা। পোষ্যদের জন্য তৈরি নয়া হাসপাতালে কুকুরদের প্রতিষেধক দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নির্বীজকরণের কাজও হবে। পথ কুকুরদের চিকিৎসা হবে নিখরচায়।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দারা পোষ্যদের জন্য হাসপাতালের দাবি তুলে আসছেন। সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালের জন্য জায়গা বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’