• Jadavpur University : পড়াশোনার আর্জি যাদবপুরে র‍্যাগিংয়ে জেলবন্দি ৩ পড়ুয়ার
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: ছ’সাত মাস হয়ে গেল র‍্যাগিং ও তার জেরে ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগে তাঁরা জেলবন্দি। জেল থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়ে এ বার আবেদন করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‍্যাগিং ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে বন্দি তিন ছাত্র। ইতিমধ্যে সেই আবেদন জেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছেছে।জেল সূত্রে খবর, তিন জন পড়ুয়া পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যাদবপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র অঙ্কন সরকার। তাঁর পড়াশোনা করার আবেদন এসে পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্য দুই বন্দি তথা যাদবপুরের প্রাক্তনী অবশ্য দূরশিক্ষার মাধ্যমে জেলে থেকে পড়াশোনার আবেদন করেছেন।

    গত বছর অগস্টে রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছিল যাদবপুর মেন হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে। উঠে আসে র‍্যাগিং ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এই ঘটনায় মোট ১২ জন প্রাক্তনী ও ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কেউ কেউ জামিনের আবেদন করলেও সাড়া দেয়নি আদালত। এই পরিস্থিতিতে বন্দি তিন জন পড়াশোনা চালাতে চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন।

    অঙ্কনের পাশাপাশি জেলবন্দি দুই প্রাক্তনী অসিত হালদার বাংলা পড়তে চেয়ে এবং সপ্তক কামিল্লা অর্থনীতি পড়তে চেয়েছেন দূরশিক্ষা ব্যবস্থায়। সেই আবেদনও খতিয়ে দেখছেন জেল কর্তৃপক্ষ। জেলের বক্তব্য, এই তিন জনের আবেদনই আদালতে পেশ করা হবে। আদালত যেমন বলবে, তেমনই ব্যবস্থা করা হবে।

    অঙ্কনের আবেদন নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা চিঠি পেয়েছেন। কী ভাবে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে এক জেলবন্দি পড়ুয়ার, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই আবেদনের কথা শুনে কী বলছে সেই মৃত পড়ুয়ার পরিবার?

    প্রয়াত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমার কাছে সব। তবে আমি চাই এই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে আর কোনও বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়।’ একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, ‘এত মাস হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয় কিছু করতে পারেনি। আজও ক্যাম্পাসে সেই অবস্থা যা আট-ন’মাস আগেও ছিল। এই ঘটনায় আরও যাঁরা অপরাধী, তাঁদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায় হতাশ।’

    যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার বক্তব্য, ‘উপাচার্য পদে কেউ না থাকার ফলেই এখনও শাস্তির সমস্ত সুপারিশ নিয়ে এগোনো যাচ্ছে না।’
  • Link to this news (এই সময়)