কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। তবে তার মাঝেই আচমকা নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ গোয়েল। তিন সদস্য বেঞ্চে এবার কেবলমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার রয়ে গেলেন। কারণ অপর নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশনের লোকসভা নির্ঘণ্ট ঘোষণা কিংবা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এর প্রভাব পড়তে পারে?লোকসভার নির্ঘণ্ট ঘোষণায় কোনও সমস্যা নেইঅরুণ গোয়েলের ইস্তফা এবং অনুপ চন্দ্র পাণ্ডের অবসর গ্রহণের ফলে এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়া সামলানোর সমস্ত দায়িত্ব একলা রাজীব কুমারের কাঁধে এসে পড়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, এর জেরে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নির্বাচন কমিশনে এই মুহূর্তে দু'টি পদ খালি রয়েছে। তবে তাতে লোকসভা ভোটের প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই খবর।
অরুণ গোয়েলকে নিয়ে বিতর্কঅরুণ গোয়েলের নির্বাচন কমিশনারের পদে মেয়াদ ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। তবে লোকসভার ভোট ঘোষণার আগেই তিনি পদত্যাগ করলেন। তাঁর ইস্তফাপত্র ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তবে ঠিক কী কারণে তিনি ইস্তফা দিলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। অরুণ গোয়েল পঞ্জাব ক্যাডারের ১৯৮৫ সালের IAS। গত ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর তিনি স্বেচ্ছাবসর নিয়েছিলেন। তার ঠিক পরদিনই তাঁকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এই ঘটনা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কেন এত দ্রুত তাঁর নিয়োগ হল এই নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর নিয়োগ বাতিল হয়নি।
আগামী সপ্তাহেই ভোটের দিন ঘোষণাসূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার অর্থাখ ১৪ কিংবা ১৫ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সম্ভাবনা। তার আগে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের। কিন্তু, আচমকা অরুণ গোয়েলের নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফায় ফুল বেঞ্চ নয় কেবলমাত্র রাজীব কুমার একাই সেখানে যাবেন কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও আপডেট আসেনি। প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ বাংলায় এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানে শারীরিক সমস্যার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন অরুণ গোয়েল।