কর্মস্থল মালোয়েশিয়া। সেখানে মোটা মাইনের কাজ জুটবে। তবে সেই কাজে যোগ দেওয়ার জন্য দূরে কোথাও গিয়েও ইন্টারভিউ দিতে হবে না। গ্রামে বসেই দেওয়া যাবে ইন্টারভিউ। কর্মপ্রার্থী শ্রমিকদের বেশি করে টানতে এমন অফার দেওয়া হয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার উলাসি নিমতলা গ্রামে। রীতিমতো অফিস খুলে শুক্রবার এরকম ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু হয়েছিল।শেষপর্যন্ত পুলিশ যেতেই ‘কোম্পানি’র লোকজন ইন্টারভিউ বন্ধ করে দেয়। বড় অঙ্কের টাকা হাতানোর জন্যই যে লোক দেখানো এরকম নকল ইন্টারভিউ, জেরায় স্বীকার করেছেন প্রতারকরা। বিদেশে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কোনও কাগজপত্র দেখাতে না পারায় শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ভিন রাজ্য থেকে আসা দুই প্রতারক। ধৃতদের নাম মহম্মদ ইমতাজ ও জাহির হোসেন। একজন মুম্বইয়ের বাসিন্দা। অন্যজন দিল্লির বাসিন্দা। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রানাঘাট জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘মালয়েশিয়াতে নির্মাণ শ্রমিক ইত্যাদির কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য হাঁসখালির উলাসি গ্রামে ক্যাম্প করা হয়েছিল।
হাঁসখালি, ধানতলা, চাকদহ, করিমপুর সহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৩৫ জনের বেশি কর্মপ্রার্থী এসেছিলেন। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতানোর আগে আমরা প্রতারকদের গ্রেপ্তার করি।’ উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের লালবাগ ও সমশেরগঞ্জে প্যান্ডেল খাটিয়ে এ ধরনের ইন্টারভিউ-এর আয়োজন করেছিল প্রতারকরা। সেখানেও ধরা পড়েছিল প্রতারণা চক্রের কয়েকজন।
এর আগেও নানা জেলায় এরকম ধরনের প্রতারণা চক্র কাজ করছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারকরা ফাঁদ পাতছে একাধিক চক্র। জেলায় জেলায় এরকম চক্র ধরাও পড়ছে পুলিশের জালে। বিশেষ করে মফঃস্বল এলাকার তরুণ তরুণীদের বিভিন্ন চাকরির লোভ দেখানো হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় চাকরির টোপ দেওয়া হয়েছে। বিদেশে চাকরির নাম করিয়ে প্রতারণার টোপ দেওয়া হয়েছিল। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অর্থ মুনাফা নিয়ে ওই চক্র গায়েব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় এই চক্রের মূল পান্ডাদের।