Lok Sabha Election 2024: দক্ষিণ মালদায় কি এবারের প্রার্থী ডালু-পুত্র
এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
এই সময়, মালদা: গনিখান চৌধুরীর পরে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের ব্যাটন পেয়েছিলেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁরও চার বার সাংসদ থাকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে কংগ্রেসের কে প্রার্থী হচ্ছেন? প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠছিল মালদায়। উত্তরটা হয়তো দিয়ে দিলেন স্থানীয় কর্মীরাই। দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হয়নি। ও দিকে, ডালুবাবু অসুস্থ। হাইকমান্ডের ঘোষণার অপেক্ষা না করে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরাই ডালুপুত্র ঈশা খান চৌধুরীকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বৈষ্ণবনগর বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসের একটি কর্মী বৈঠক ছিল। মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানের ব্যানারেই ঈশা খানের নাম প্রার্থী হিসেবে লেখা হয়েছে। এটা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে বিস্ময় তৈরি হলেও কংগ্রেসের অন্দরে কোনও হেলদোল নেই। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ঈশা নিজে প্রকাশ্যে বলছেন, ‘আমি কর্মীদের বলেছিলাম, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে কর্মী বৈঠকের আয়োজন করতে। স্থানীয় নেতৃত্ব অত্যুৎসাহী হয়ে ব্যানারে আমার নাম ছাপিয়ে বসে আছে!’
ডালুবাবুর শারীরিক অবস্থার জন্য দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে এবার নতুন প্রার্থী হবে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। জেলার কংগ্রেসিরা কোতুয়ালি ভবনের কাউকে সেই জায়গায় ভাবতে না পারায় ঈশা খানের পাল্লাই ভারী হয়ে ছিল। কিন্তু জেলা কংগ্রেস সভাপতি ডালুবাবু কয়েক মাস আগে নিজেই পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে বসায় সব অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
যদিও ডালুবাবু ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এতটাই অসুস্থ যে, সম্প্রতি রাহুল গান্ধী ন্যায়যাত্রায় দু’দিন মালদায় থাকলেও ডালুবাবু তাতে উপস্থিত হতে পারেননি। সে সময় ঈশা খানকে গুরুত্ব দিতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। পরে ঈশা দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। দলের অন্দরের খবর, ডালুবাবুকে বিশ্বাস নেই, ভোটের আগে একটু সুস্থ হয়ে উঠলেই তিনি হয়তো ছেলেকে আসন ছেড়ে না দিয়ে নিজের জন্যই তৎপর হয়ে উঠবেন। সেটা আন্দাজ করেই ঈশার দিল্লি ছুটে যাওয়া।
জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মালদার দু’টি লোকসভা আসনের জন্যই অবশ্য তিনটি করে নাম পাঠানো হয়েছে। তাতে দক্ষিণ মালদা থেকে ঈশা খান চৌধুরীর পাশাপাশি নাম রয়েছে জেলার কার্যকরী সভাপতি কালিসাধন দাসের। কালিসাধনবাবু অবশ্য বলছেন, ‘ওটা নিয়ম, তাই তিন জনের নাম পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ মালদায় আসলে প্রার্থী হিসেবে ঈশাকে নিয়ে কোনও বিতর্ক বা বিকল্প নেই। দক্ষিণ মালদার সুজাপুর ও বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক ছিলেন। ফলে পরিচিত মুখ। কোনও দলের সঙ্গে জোট হোক বা না হোক, উনিই দাঁড়াবেন এবং জিতবেন।’
আর উত্তর মালদা কেন্দ্রে?
গত নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নুর তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে যাওয়ায় ভাই-বোনের (ঈশা ও মৌসম) ভোট কাটাকাটির ফায়দা তুলেছিল বিজেপি। উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দক্ষিণের মতো নিশ্চয়তা পাওয়া গেল না কালিসাধনবাবুর গলায়। বললেন, ‘তিন জন প্রাক্তন বিধায়কের নাম পাঠানো হয়েছে। ওখানে অনেক ইকুয়েশন আছে। তৃণমূল একা লড়ার কথা বললেও কংগ্রেস হাইকমান্ড এখনও কিছু পরিষ্কার করেনি। শেষপর্যন্ত, তৃণমূলের সঙ্গে জোট না হলে সিপিএমের সঙ্গে জোট হবে কিনা, কিছু ঠিক নেই। তার উপর হাইকমান্ড বাইরের কাউকে প্রার্থী করতে চাইছে কিনা, সেটাও জানা নেই।’