জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে সংস্কার করার দাবি তুলল ভারত। এই প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি, রুচিরা কাম্বোজ। এর আগেও, স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় বিভাগে বিস্তৃতিসহ সমস্ত পাঁচটি ক্লাস্টার জুড়ে কাউন্সিলের ব্যাপক সংস্কার বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। তারই রেশ ধরে, জাতিসংঘের সভায় এইনিয়ে আবার সরব হয়েছে ভারত। রুচিরা জানান যে, নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কার করার ক্ষেত্রে নেওয়া প্রস্তাব প্রায় ২৫ বছর সময় পার করেছে। এবং, বিশ্ব আর অপেক্ষা করতে চাইছে না। ভারতের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে ব্রিটেন, জার্মানিসহ একাধিক দেশ।আর বিলম্ব নয়
শনিবার, নিউইয়র্কে বসেছিল জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশন। সেখানেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) অবিলম্বে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন রুচিরা। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "বিশ্ব এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর অপেক্ষা করতে পারে না"। সেইসঙ্গে তিনি জানান, ২০০০ সালের সম্মেলনেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা নিরাপত্তা পরিষদের সব দিক থেকে ব্যাপক সংস্কার অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে প্রায় ২৫বছর পার হয়ে গিয়েছেন। জাতিসংঘে সংস্কার প্রবর্তনে অযৌক্তিক বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুচিরা। তিনি বলেন, “ এইজন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে? অবিলম্বে এই কাজ করা জরুরী ।"
দিলেন পরামর্শও
আগামী বছর জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী এবং সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলন হবে বলে ঠিক হয়েছে। তার আগেই এই সংস্কারগুলি করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন রুচিরা কাম্বোজ। আফ্রিকাসহ তরুণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর শুনে এই সংস্কারকে এগিয়ে নিতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি। রুচিরার মতে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ শুধুমাত্র অস্থায়ী সদস্যদের মধ্যে সীমিত করলে এর গঠনে বৈষম্য বাড়তে পারে। তাই তিনি এর সামগ্রিক বৈধতা উন্নত করতে কাউন্সিলের গঠনে প্রতিনিধিদের এবং ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর প্রস্তাব, “পর্যালোচনার সময় সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ব্যবহার করা উচিত নয়।”
ভারতকে সমর্থন
রুচিরা কাম্বোজ সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিশেষ বিবেচনার যোগ্য নির্দিষ্ট দেশগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের মত মনোযোগ সহকারে শোনার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে ব্রাজিল, জাপান এবং জার্মানি। ভারতের সংস্কারের পরামর্শের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ওই কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য ইউনাইটেড কিংডম-ও । তারা জানিয়েছে, “নিরাপত্তা পরিষদে আরও অনেক বেশি দেশের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত।”