'একতরফা ঘোষণা অনুচিত, আমরা চেয়েছিলাম...', তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণায় অসন্তুষ্ট কংগ্রেস
এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
৪২টি লোকসভা আসনে রবিবার প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। যা কার্যত বঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের কফিনে শেষ পেরেক। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। কিছুদিন আগে পর্যন্ত আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিল কংগ্রেস। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট করবে না এ রাজ্যের শাসকদল। বাস্তবে ঘটলও তেমনটাই। সবক'টি আসনেই এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তারা, সেইমতো প্রার্থীদের নামও ঘোষিত হল রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে।বাংলায় কেন ইন্ডিয়া জোট কার্যকর হল না? কেন কংগ্রেসের নাছোরবান্দা সত্ত্বেও আসন সমঝোতায় রাজি হল না তৃণমূল কংগ্রেস? এই নিয়ে কার্যত সাফাই দিতে শোনা গেল জয়রাম রমেশকে।
অসন্তুষ্ট কংগ্রেস৪২ আসনে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার ঠিক পরই এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, 'জাতীয় কংগ্রেস বারবার করে সম্মানজনকভাবে আসন সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূলকে। আমরা চেয়েছিলাম আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রফা হোক। একতরফা ঘোষণা করা হয়েছে, যা উচিত ছিল না।' তাঁর সংযোজন, 'আমরা চেয়েছিলাম গোটা দেশের মতো বাংলাতেও জোটবদ্ধভাবে BJP-র বিরুদ্ধে লড়ুক INDIA।'
তৃণমূলের প্রার্থীতালিকাএদিকে, রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল। তৃণমূল কংগ্রেস এবারের ভোটে আটজন বর্তমান সাংসদকে বাদ দিয়েছে। বদলে আনা হয়েছে চমক। প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান এবং কীর্তি আজাদকে টিকিট দিল তৃণমূল। বহরমপুরে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর আসনে লড়বেন ইউসুফ পাঠান। এই আসনে পাঁচবারের সাংসদ অধীর। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে। ইন্ডিয়া জোট না হওয়ার জন্য তাঁকেই মূলত দায়ী করেছেন জোড়াফুল নেতারা। সেই অধীরের বিরুদ্ধে 'হার্ডহিটার' প্লেয়ার ইউসুফ পাঠানকে নামিয়ে বাজিমাত করতে চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, 'ইউসুফ পাঠানকে সম্মানিত করার হলে তাঁকে তৃণমূল রাজ্যসভার প্রার্থী করতে পারত তৃণমূল। গুজরাট থেকে জোটের সঙ্গে আসন রফা করে তাঁকে দাঁড় করাতে পারত। BJP-র হাত শক্ত করার জন্যই এখানে তাঁকে টিকিট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' পাশাপাশি, বসিরহাট থেকে নুসরত জাহানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বদলে পুরনো সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামকে ফিরিয়ে এনেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগর থেকেও ফের টিকিট দেওয়া হল বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।
NDA-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য INDIA জোট তৈরি করেছিল ২৮ বিরোধী দল। এই বিরোধী প্ল্যাটফর্মের প্রথমসারির দুই গুরুত্বপূর্ণ দল কংগ্রেস এবং তৃণমূল। তবে বঙ্গে এই জোট কার্যকরী হওয়া আগে থেকেই বিশ বাঁও জলে ছিল। CPIM তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যাবে না বলে আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘোষণা করেছিলেন তিনি একলা চলো নীতিতেই লোকসভায় লড়বেন।