• Samudrayaan Mission: মহাকাশ টু মহাসাগর! কবে মৎস্য-৬০০০ চেপে সমুদ্রের অতলে বিজ্ঞানীরা? রইল আপডেট
    এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
  • ভারতের চাঁদ জয়ের বর্ষপূর্তি এখনও হয়নি। গত বছর ২৩ অগাস্ট সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে চাঁদ জয় করেছে ভারত। বর্তমানে ভারত প্রস্তুতি নিচ্ছে বহু প্রতিক্ষীত গগনযান মিশনের জন্য। ট্রায়াল চলছে সেই মিশনের। ২০২৫ সালে চূড়ান্ত গগনযান মিশন। এই আবহে বড় খবর। মহাকাশ, চাঁদের পর পালা সমুদ্র অভিযানের। মহাকাশ থেকে অথৈ জল সবেতেই কঠোর পরিশ্রম করছেন বিজ্ঞানীরা।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে ভারত পা বাড়াবে সমুদ্রযান মিশনের দিকে। সমুদ্রযানের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের ছয় কিলোমিটার গভীরে সমুদ্রে অধ্যয়নের জন্য পাঠানো হবে বিজ্ঞানীদের। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, সাবমেরিন 'মৎস্য ৬০০০'-এর সাহায্যে মানুষ সমুদ্রের তলদেশে ৬০০০ মিটার (৬ কিলোমিটার) গভীরে যেতে পারে। এ বছরের শেষ দিকে এই মিশনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। এই মিশনের মাধ্যমে সমুদ্রের অতলে ৬ কিলোমিটার গভীরে পাঠানো হবে বিজ্ঞানীদের। তাঁরাই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। সমুদ্রের ৬ কিলোমিটার গভীরে আলো পৌঁছতে পারে না।'

    মন্ত্রীর জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলদেশে মানুষকে বয়ে নিয়ে যাবে 'Matsya৬০০০'। এই মিশনের তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছরের শেষের দিকে প্রথমে অগভীর জলাশয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে।

    কী পরিকল্পনা?

    মন্ত্রীর আশা, আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষের দিকে সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরতায় বিজ্ঞানীদের পাঠানো যাবে। সমুদ্রযান, বা গভীর সমুদ্র মিশন, ২০২১ সালে চালু হয়েছিল। এই মিশনে মৎস্য ৬০০০ ব্যবহার করে তিনজন বিজ্ঞানীকে পাঠানো হবে সমুদ্রতলে। বিশেষ কিছু সরঞ্জাম এবং সেন্সরগুলির মাধ্যমে সেই জায়গার অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন। মৎস্য ৬০০০-কে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বিজ্ঞানীরা ১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। কিন্তু যদি এই যানটি জরুরি কোনও পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে তবে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্তও কাজ করবেন বিজ্ঞানারী।

    সমুদ্রযানের লক্ষ্য?

    জলের অনেকটা গভীরে খনিজ পদার্থ খুঁজে বের করা এই মিশনের লক্ষ্য। পলিমেটালিক নোডুলস, কোবাল্ট সমৃদ্ধ ম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট এবং হাইড্রোথার্মাল খুঁজে এনে, তা নিয়ে পরীক্ষা করা। এই পলিমেটালিক নোডুলগুলির মধ্যে তামা, কোবাল্ট, নিকেল এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো অত্যন্ত মূল্যবান ধাতু রয়েছে। এখনও পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স এবং জাপানের মতো দেশগুলি গভীর সমুদ্রে সফল ক্রু মিশন পরিচালনা করেছে। মৎস্য ৬০০০ মিশনে সফল হলে ভারতও সেই তালিকায় যোগ দেবে।
  • Link to this news (এই সময়)