'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ', টিকিট পেয়েই কী বার্তা ইউসুফের?
এই সময় | ১০ মার্চ ২০২৪
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'আমি চিরকালের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, যিনি আমাকে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সংসদে জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার দায়িত্বে আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে, দরিদ্র ও বঞ্চিতদের উন্নতি সাধন আমাদের কর্তব্য, এবং আমি আশা করি সেটা অর্জন করতে পারব।'ক্রিকেটার হিসেবে যথেষ্টই জনপ্রিয় ছিলেন ইউসুফ পাঠান। বিগ হিটার বা হার্ড হিটার হিসেবে ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে যথেষ্টই পরিচিত ছিলেন তিনি। রান তাড়া করে ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে বহুবারই দলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার পাশাপাশি আইপিএল-এর মতো প্রতিযোগিতার মঞ্চেও নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন তিনি। আর তাই বহরমপুরের মতো রাজনীতির কঠিন পিচে ব্যাটিং করার জন্য এবার ইউসুফকেই বেছে নিয়েছে তৃণমূল।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা দীর্ঘদিনের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর নিজস্ব গড় বলে পরিচিত। এই এলাকাকে হাতের তালুর মতো চেনেন অধীর। তাঁর অনুগামীরা বলেন, বহরমপুরের মানুষের সঙ্গে এক আন্তরিক যোগাযোগ রয়েছে অধীর চৌধুরীর। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রবল গেরুয়া হাওয়ার মধ্যেও নিজের গড় বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন অধীর। রীতিমতো মাটি কামড়ে পড়ে থেকে আরও একবার ছিনিয়ে এনেছিলেন জয়। যদিও এবারে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কোনও আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বেশিরভাগই মনে করছেন, এবারেও বহরমপুর থেকেই টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল অধীরের। আর সেটাই যদি বাস্তবে হয়, তাহলে ইউসুফকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
ইউসুফকে প্রার্থী করার বিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, 'ইউসুফ পাঠানকে সম্মানিত করার থাকলে তাঁকে রাজ্যসভার টিকিট দিয়ে সাংসদ করা যেতে পারত, বা ইউসুফকে পাঠানকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালো কোনও ভাবনা থাকলে, গুজরাটে জোটের থেকে একটি আসন চেয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু ওনাকে একটা কারণেই পাঠান হয়েছে, যাতে বিজেপির সুবিধা হয় ও কংগ্রেস হারে।' অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যকে ঘিরে অবশ্য ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।