২৩ অগাস্ট ২০২৩-এ ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। ওই দিন চাঁদে ইসরোর তৈরি মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ সফল ভাবে পা রাখে। ওই দিন আবেগে ভেসে ছিল দেশ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হয় সেদিন। পরিপূর্ণতা হয় বহু বছরের দেখা স্বপ্ন। তারপর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। বড় এই মিশনের সাফল্য দেখে কাজের উৎসাহ দ্বিগুণ হয়েছে। আরও একাধিক প্রজেক্টের জন্য কাজ চলছে রকেটের গতিতে। ইসরোর হাতে এখন একের পর এক বড় গতিতে। এবার চন্দ্রযান-৪-এর স্বপ্নে বিভোর ইসরো। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। চন্দ্রযান-৪ মিশন নিয়ে বড় আপডেট দিলেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ।কী জানিয়েছেন ইসরো প্রধান?
এবার আর একটা রকেট নয়, পর্যায়ক্রমে দুই ধাপে দুই রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৪। চন্দ্রযান-৪-এর পেলোডগুলি দুই ধাপে পাঠানো হবে চাঁদে। দুই ধাপে সেই পেলোডগুলি বয়ে নিয়ে যাবে দুই রকেট। চন্দ্রযান-৪ মিশনের লক্ষ্য, চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। আশা করা হচ্ছে ২০২৮ সালের আগে এই মিশন চালু হবে।
ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, এই প্রথমবার ইসরো একটি মিশনের জন্য দু'বার রকেট উৎক্ষেপণ করবে। চন্দ্রযান-৪ চাঁদের পাথর ও মাটি (রেগোলিথ) নিয়ে ফিরবে পৃথিবীর বুকে। LVM-3 এবং PSLV রকেট দু'টি চন্দ্র মিশনের পেলোডগুলি বহন করবে। আলাদা আলাদা দিনে উৎক্ষেপণ করা হবে রকেটগুলি। এই মিশন সফল হলে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনার ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ দেশ হবে।
চন্দ্রযান-৪ মিশন নিয়ে কী জানিয়েছেন ইসরো প্রধান?
সম্প্রতি জাতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সেমিনারে ইসরোর চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ জানিয়েছেন চন্দ্রযান -৪ মিশনের লক্ষ্য হল চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং সেগুলিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাতে বিজ্ঞানীরা সেগুলি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন। আগে চন্দ্র মিশনগুলিতে ২-৩টি পেলোড থাকলেও চন্দ্রযান-৪-এ থাকবে পাঁচটি পেলোড। পেলোডগুলি হল প্রপালশন মডিউল (মোশন কন্ট্রোল), ডিসেন্ডার মডিউল (চাঁদে অবতরণ করবে এই পেলোডটি), অ্যাসেন্ডার মডিউল (চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসতে সাহায্য করবে), ট্রান্সফার মডিউল (এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে যাওয়া) এবং রি-এন্ট্রি মডিউল (পৃথিবীতে ফিরে আসবে নমুনা সংগ্রহ করে)।