'সাচ্চা সৈনিক...', টিকিট না পেয়ে মন্তব্য ২ বারের সাংসদ অপরূপার
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। তৃণমূল লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেই অপরূপা বললেন, 'আমি দলের সাচ্চা সৈনিক।' পাশাপাশি অন্য দলে যোগদানের জল্পনাও উড়িয়ে দিলেন।রবিবার ব্রিগেড ময়দান থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। সেই তালিকায় নাম নেই অপরূপা পোদ্দারের। এদিকে টিকিট না পেয়ে তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার জন্য যা করেছেন, যা ভেবেছেন তা ভালোর জন্যই। দলের সাচ্চা সৈনিক হিসেবে থাকব।'
এদিন ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় বাদ পড়েন আরামবাগের দুবারের জয়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এই বার তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য মিতালী বাগকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১২০০ ভোটে জয়ী হন অপরূপা। কিন্তু, ২০২১ এ আরামবাগ লোকসভার চারটি বিধানসভায় হারতে হয় তৃণমূলকে। পঞ্চায়েতেও আরামবাগ খানাকুল গোঘাট এলাকায় ভালো ফল করে বিজেপি। আর এতেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অপরূপাকে নিয়ে কিছুটা ভাবনা শুরু করে বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আরামবাগ লোকসভা এলাকাতেই অপরূপা প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। দশ বছরে সাংসদ থাকাকালীন তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও পর্যালোচনার বিষয় হয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে দলীয় নেতৃত্ব। এরপরেই এদিন শাসকদলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বাদ পড়েন দুবারের জয়ী তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
শনিবার তিনি ব্রিগেডের প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে প্রার্থী না করায় মনে কোনও অভিমান নেই তাঁর। অপরূপা বলেন, 'জন্ম লগ্ন থেকে তৃণমূল করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরসা করি। দলের একজন সাচ্চা সৈনিক হয়ে ছিলাম, আছি, থাকব। দিদি যা করেছেন আমার জন্য ভেবে করেছেন। আমি দলের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আরামবাগের মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। তবে বিজেপি যদি আমার জন্য তাজমহল লালকেল্লা এনে দেয় তাও আমি কোনদিনও বিজেপি করতে পারিনি, আর পারবও না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ভালোবাসি। দলটাকে আমি ভালোবাসি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ঘোষণার সময় এদিন বলেন, ‘দু’একজনকে প্রার্থী করতে পারিনি। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁদের বিষয়টি ভেবে দেখব।’ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল।