মফঃস্বল থেকে লড়াই করে উত্থান-পেশায় চিকিৎসক, বর্ধমান পূর্বে তৃণমূলের প্রার্থী কে এই শর্মিলা?
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন চিকিৎসক শর্মিলা সরকার। তিনি কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বর্তমানে কর্মরত, সাইকিয়াট্রিক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার আদি বাসিন্দা শর্মিলা দেবী। ছোটবেলার পড়াশুনা কাটোয়ার অগ্রদীপ ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকেই। এরপর কাটোয়া কলেজ থেকে স্নাতক হন। এরপর কলকাতা থেকে তিনি পড়াশোনা করেন। এই চিকিৎসকের সঙ্গে বর্ধমানের নাড়ির টান। তাই অপেক্ষাকৃত আনকোরা মুখের উপরেই ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন সুনীল মণ্ডল। এবার তাঁর জায়গায় বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে শর্মিলার নাম ঘোষণা করে কার্যত চমকে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তার মধ্যে শর্মিলা সরকারের নাম ঘোষণা হয় বর্ধমান পূর্বের জন্য।
দু-একদিনের মধ্যেই বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দেবেন বলে জানালেন শর্মিলা সরকার। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার এই সময় ডিজিটালকে বলেন, 'আমি এতদিন ধরে মানসিক অসুস্থ রোগীদের পাশে থেকেছি। তাঁদের লড়াইটা দেখেছি। এবার মানুষের মধ্যে গিয়ে তাঁদের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমি চেষ্টা করব দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব।'
তিনি আরও জানান, রাজনীতির লোক তিনি নন। মুখে কথা বলায় বিশ্বাসী নন তিনি। কাজে করে দেখাতে চান বলে জানান। উল্লেখ্য, বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলেও রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে এই নাম নিয়ে। শর্মিলা সরকার চিকিৎসক। ফলে তাঁর একটি আলাদা সামাজিক পরিচয় রয়েছে। পাশাপাশি বর্ধমানের ভূমি কন্যা তিনি। সব মিলিয়ে বর্ধমান কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, শর্মিলা স্থানীয় মেয়ে। পড়াশোনার জন্য তাঁকে কলকাতায় চলে আসতে হলেও স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ তিনি ছিলেন বর্ধমানেই। সেক্ষেত্রে এলাকা এলাকা তাঁর নিখুঁতভাবে চেনা। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগাযোগ তৈরি করতেও খুব একটা বেশি সময় লাগবে না, যা তাঁর প্রচার থেকে শুরু করে ভোটময়দানেও USP হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।