• Tamluk Incident: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, নেত্রীর অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
    এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়, তমলুক: বিজেপির মহিলা মোর্চার এক নেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল তমলুক থানার পুলিশ। ধৃত ৩ জনই বিজেপি কর্মী। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার ধৃতদের ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে তমলুক আদালত। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তমলুকের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ করেন দলেরই এক মহিল নেত্রী।তাঁর অভিযোগ, বড় পদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্ত নেতা তাঁর সঙ্গে একাধিক বার সহবাস করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাঁকে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে নন্দকুমারে ডেকে মারধরের পরে মোবাইল কেড়ে নিয়ে সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলেন অভিযুক্ত নেতা।

    এরপর জেলা ও রাজ্য নেতাদের জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে নিগৃহীতা নেত্রী তমলুক থানায় অভিযুক্ত নেতা ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মারধর ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি অভিযোগ করেন। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে জানতে পেরে গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তদন্তে নেমে তমলুক থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে নদিয়া থেকে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।

    পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি সৌম্যজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘অভিযুক্তরা সকলে জেলার বাইরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পুলিশের বিশেষ টিম তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সহ বাকিরা রাজ্যের বাইরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি অভিযুক্তরাও ধরা পড়বে।’

    দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব চুপ থাকায় প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে তমলুকে প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘সন্দেশখালির সাজানো নাটক নিয়ে যে সব বিজেপি নেতারা গলা ফাটাচ্ছেন, সেই সব নেতারা এখন মুখে কুলুপ এঁটে অভিযুক্তদের কেন দিল্লিতে লুকিয়ে রেখেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে দলীয় নেতৃত্বের কাছে সব ঘটনা জানিয়েও ওই মহিলা বিচার পাননি।’

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, ‘তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির ওই নেতাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নিগৃহীতা দলের কাছে কোনও দিন অভিযোগ জানাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘দল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। অভিযুক্তদের বলা হয়েছে, আইনি ভাবে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে।’
  • Link to this news (এই সময়)