Mental Health : ডাক্তারদেরও মানসিক চাপ কাটাতে দিশা আলোচনায়
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
এই সময়: আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে লাগাতার পদক্ষেপ করে চলা, কাউন্সেলিংয়ের সংস্থান, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে। তা হলেই চিকিৎসকদের ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, অবসাদ ও আত্মহত্যা প্রবণতায় রাশ টানা যাবে অনেকটা। আর সেই লক্ষ্যেই প্রাথমিক পদক্ষেপ করল চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের।শনিবার রাতে দেশ-বিদেশের প্রতিথযশা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিদদের সঙ্গে নিয়ে এক ভার্চয়ুাল সেশন আয়োজন করা হয় সংগঠনের তরফে। তাতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের অন্তত ৫০ জন চিকিৎসক। আলোচনায় উঠে আসে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির কথা এবং তার মোকাবিলায় কী করণীয়, সে প্রসঙ্গও।
প্যানেল ডিসকাশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব, স্বস্তিশোভন চৌধুরী, পাঞ্চজন্য ঘটক, কৌশিক মুখোপাধ্যায়, ইমারজেন্সি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অপরাজিতা মিত্র এবং মনোবিদ রুমঝুম ভট্টাচার্য। মেডিক্যাল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্র-ছাত্রী ও চিকিৎসকদের যে চাপের সামনে অহরহ পড়তে হয় আজকাল, তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় অনুষ্ঠানে।
কী ভাবে সেই বেড়ে চলা চাপের মোকাবিলা করা যায় এবং সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক সংগঠনের ভূমিকা কী হতে পারে, তার খুঁটিনাটি দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই জ়ুম মিটিংয়ে। আলোচনায় জোর দেওয়া হয় চিকিৎসকদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে নিয়মিত মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তোলা ও কাউন্সেলিং করার উপর।প্রয়োজনে থেরাপি করার কথাও উঠে আসে আলোচনায়।
ডাক্তারি পড়ুয়া, রেসিডেন্ট ডাক্তার এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, বার্ন-আউটের লক্ষণ চিনে পদক্ষেপ করা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ থাকা যে কতটা জরুরি, আলোচনায় সে সবও তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ জোর দেওয়া হয় কর্মস্থলে ‘সাপোর্টিং’ পরিবেশ তুলে ধরার উপরও। পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবনযাপনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যে কত জরুরি, সে কথাও উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করিয়ে দেওয়া হয়, সরকার-প্রশাসনের ভূমিকার কথাও। ডক্টর্স ফোরামের কর্তারা জানাচ্ছেন, এটাই শেষ নয়, এমন প্রয়াস ধারাবাহিক ভাবে চলবে। পরবর্তী ভার্চুয়াল আলোচনা হবে আগামী শনিবার, ১৬ মার্চ রাত ৮টায়।