ওয়াশিংটন: কারও দাবি, প্লেন চালানোর সময় স্বচক্ষে ইউএফও দেখেছেন, কেউ আবার নির্জন কোনও স্থানে ইউএফও নামার প্রমাণ পেয়েছেন! আমেরিকায় নানা সময়ে উঠে এসেছে ইউএফও-র এমন অনেক গল্প। ভিন্গ্রহের প্রাণী, ভিন্গ্রহ থেকে আসা উড়ন্ত চাকতি (ইউএফও)-এর অস্তিত্ব নিয়ে ইউএসবাসীর আগ্রহ বহুদিনের। কিন্তু সেই সব আগ্রহে কার্যত জল ঢেলে ইউএস পেন্টাগন জানিয়ে দিল, অ্যালিয়েন বা ভিন্গ্রহী জীব এবং ইউএফও-র কোনও অস্তিত্বই সরকারি গবেষণায় মেলেনি।ভিন্গ্রহীদের উপস্থিতি আদৌ আছে কি না, জানতে ইউএস প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছিল গবেষণা। ‘দ্য হিস্টোরিক্যাল রেকর্ড অফ ইউএস গভর্নমেন্ট ইনভলভমেন্ট উইথ আনআইডেন্টিফায়েড অ্যানোমেলাস ফেনোমেনা’-এর ৬৩ পাতার রিপোর্টে দাবি, ভিন্গ্রহের উড়ন্ত চাকতি বলে যেগুলোকে মনে করা হয়েছে, সেগুলো হয় সাধারণ কোনও বস্তু বা একেবারেই চোখের ভুল!
পেন্টাগন আধিকারিকদের বক্তব্য, ‘টেলিভিশন, বই, সিনেমা, ইন্টারনেটে ইউএফও সংক্রান্ত অনেক কন্টেন্ট রয়েছে। সেগুলোই মানুষের বিচারবুদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। কিছু মানুষের মধ্যে অ্যালিয়েন এবং ইউএফও-দের অস্তিত্ব সম্পর্কে বদ্ধমূল ধারণার জন্ম দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ইউএফও এবং ভিন্গ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনাও হয়েছে, অংশ নিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সেই তথ্যও সরকারি রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রিপোর্টে দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রকেট, ড্রোনকে ইউএফও বলে ভুল করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকের ধারণা ছিল, ইউএস প্রশাসনের কাছে অ্যালিয়েনদের মৃতদেহ এবং উড়ন্ত চাকতির টুকরো রয়েছে। সেই ধারণাও নস্যাৎ করেছে সরকারি রিপোর্ট।