রাজ্য়ের ৪২ কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের যুব নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। ব্রিগেডের সভায় নাম ঘোষণার পরেই এদিন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা এলাকায় যান যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী। দেওয়াল লিখন করার পাশাপাশি তিনি জনসংযোগ কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম এবং রাজপুর সোনারপুর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর ও দলীয় কর্মী সমর্থকরা।এদিন সায়নী ঘোষ বলেন, '১৯৮৪ সালে ৩০ বছর আগে যুবনেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাদবপুরে জিতিয়েছিলেন। এবার আমাকে জেতান, আমিও যুবনেত্রী। নিরাশ করব না।' তিনি আরও বলেন, লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছি, আমি লড়াই করব। বিধায়ক কাউন্সিলার, পঞ্চায়েতের সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্য, সবাই পাশে রয়েছেন। সর্বোপরি ছাত্র যুব মহিলা সকলের সমর্থন রয়েছে, ফলে এই লড়াইয়ে আমি জিতব।'
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করছেন সায়নী ঘোষ। এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন সায়নী। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন তিনি। যদিও পরবর্তীতে তৃণমূলের যুব নেত্রী হন সায়নী। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রথম সারিতেই দেখা যায় তাঁকে।
টলিউডের ভীষণই পরিচিত মুখ সায়নী ঘোষ। অভিনেত্রীর পাশাপাশি বর্তমানে সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনীতি। এদিন সায়নী ঘোষ সংবাদমাধ্যমে আরও বলেন, 'আমার মনে হয়, ২০২১-এর নির্বাচনে আগে যেমন বাংলার মানুষ বলেছিল, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, ২০২৪ সালে যাদবপুরও সেটাই বলবে যে যাদবপুর নিজের মেয়েকেই চায়। চিন্তার কোনও বিষয় নেই। একটা নির্বাচনে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস, বিজেপি নিজের প্রার্থী দেবে। জনগণের রায়ই শেষ কথা। আমি তিন বছর ধরে সংগঠন করছি। অভিনেত্রী কম, সভানেত্রী বেশি হয়েছি। মানুষ এখন সেইভাবেই আমায় চেনে। ৩টে সিনেমা করেছি, আর ৩০০-র বেশি সভা করেছি। মনে হয় না মানুষের কোনও দুশ্চিন্তা আছে। আমি কাজ করব, তাঁরা যেন নিশ্চিন্ত থাকেন।'
এর আগে, ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে টিকিট দেয় তৃণমূল। ওই কেন্দ্র থেকে জয়ীও হন তিনি। তবে সম্প্রতি তাঁর সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার খর সংবাদ শিরোনামে আসে। আর এবার দেখা গেল অপর এক অভিনেত্রীকে টিকিট দিল তৃণমূল।