Delhi Police Namaz Row : নমাজ পাঠরত মুসলিমদের গায়ে এলোপাথাড়ি লাথি! বিতর্কে মুখ খুলল দিল্লি পুলিশ
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
দিল্লির রাস্তায় নমাজ পাঠরত মুসলিমদের গায়ে এলোপাথাড়ি লাথি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছিল। অভিযুক্ত দিল্লি পুলিশের কর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল দিল্লি পুলিশ।ঘটনার পর আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, মুসলিমদের গায়ে লাথি মারায় অভিযুক্ত পুলিশের উপর চড়াও হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সামনেই ওই সাব ইন্সপেক্টরকে কার্যত হেনস্থা করছে উত্তেজিত জনতা। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। এবার দ্বিতীয় এই ভাইরাল ভিডিয়ো সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া এল দিল্লি পুলিশের তরফে।
যে সাব ইন্সপেক্টরকে দেখা গিয়েছিল মুসলিম ব্যক্তিদের গায়ে জুতো পড়া অবস্থায় লাথি মারতে তাঁর নাম মনোজ তিওয়ারি।
তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ভাইরাল হওয়া দ্বিতীয় ভিডিয়োতে তিনি ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে DCP নর্থ দিল্লির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই ঘটনাটির ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। যে সাব ইন্সপেক্টরের নাম নেওয়া হচ্ছে তিনি ভিডিয়োতে নেই। গত ৮ মার্চ, শুক্রবারের ভিডিয়ো এটি। শনিবারের নয়। একদিন ইন্দারলোক এলাকায় জমায়েত সরাতে পৌঁছেছিল পুলিশ। ভিড়ের মধ্যে থেকে পুলিশ কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যায় একদল এলাকাবাসী। পুলিশ পোস্ট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের। যদিও বিক্ষোভ বেধে থাকে, তাহলে তা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইন্দারলোক এলাকার একটি মসজিদে জুম্মার নমাজ পাঠের সময় মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়। ফলে কয়েকজন নমাজ পাঠ শুরু করেন মসজিদের সামনের রাস্তায়। সে সময় তাঁদের উপর এলোপাথাড়ি লাথি মারায় অভিযুক্ত ছিলেন ইন্দার পুলিশ পোস্টের সাব ইন্সপেক্টর মনোজ তিওয়ারি। এই মর্মে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সমাজের সব মহলে। বিতর্কের মুখে ওই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ডও করে দিল্লি পুলিশ।
জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দের নেতা মৌলানা মাহমুদ মাদানি গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি একটি চিঠিও লিখেছেন। এই ধরণের ঘটনা সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। দেশের গ্লোবার রেপুটেশনে প্রভাব পড়ছে। দিল্লিতে এই ধরণের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব কাজ করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।