• দশ জেলায় সিপিএমের মেগা সানডে
    এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি, মালদা থেকে পূর্ব বর্ধমান, দমদম-সিঁথি থেকে চণ্ডীপুর — তৃণমূলের মেগা ব্রিগেডের দিন, ১০ মার্চই ১০ জেলার ১০ দিকে ছড়িয়ে পড়ল বামেরা। মূলত ‘শিক্ষা বাঁচাও যাত্রা’ ও পথসভার মাধ্যমে লোকসভা ভোটের আগে বাংলার কোনায় কোনায় লাল ঝান্ডার উপস্থিতি জানান দিল সিপিএম।নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকে আক্রমণ করে নতুনের ডাক দিল তারা। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার সমাবেশে বক্তা ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে যেমন মোদী বলেছিলেন, বছরে দু’কোটি চাকরি দেবেন, তেমনই বাংলায় মমতা বলেছিলেন, বছরে দু লক্ষ চাকরি দেবেন। কিন্তু পুরোটাই মিথ্যে। এরা বেকারদের জন্য কিচ্ছু করেনি।’

    মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় বক্তা ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘বিজেপি বলে ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট। এই নির্বাচন আর সাধারণ নির্বাচন নেই। এরপরে আর নির্বাচন হবে কি না, জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন কি না, মানুষ ভোট দিতে পারবেন কি না সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’

    দমদম লোকসভার সিঁথির মোড়ে এক জনসভায় ভাষণ দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকে। পূর্ব বর্ধমানে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সভা করেন আভাস রায়চৌধুরী, দীপ্সিতা ধর। চাকরির দাবিতে সরব হয়ে দীপ্সিতা বলেন, ‘তৃণমূলের পাঁচতলা মল, এখন পুরোটাই চোরে ভরা। রোগা চোর, মোটা চোর, পাতলা চোর, ভারী চোর, হিন্দু চোর, মুসলমান চোর- যেমন যেমন চোর দরকার তেমন তেমনই আপনি এই মল থেকে পেয়ে যাবেন।’

    বীরভূমের রামপুরহাটের সভায় সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘মানুষের দুই শত্রু — দিল্লিতে মোদী, বাংলায় মমতা। এই দুটো দলই লুটেরাদের দল। এই দুটো দলকেই জনবিচ্ছিন্ন করতে হবে।’ যদিও রাজনীতির প্রেক্ষিতে সিপিএমকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। আর বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক করার সময়ে এই বক্তব্যগুলো কথায় ছিল?
  • Link to this news (এই সময়)