এই সময়: জামাকাপড়ের মধ্যে সোনার বার বা জুতোর সোলে সোনার বিস্কুট পাচারের অনেক ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে নজরে এসেছে কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। এমনকী গোপনাঙ্গে বা মলদ্বারের মধ্যে পেস্টের আগে সোনা পাচারের চেষ্টা করতে গিয়েও ধরা পড়েছেন কেউ কেউ।এবার বিমানবন্দর হয়ে সোনা পাচারে আরও নতুন ছক। দিন কয়েক আগে গোটা কাপড়ে সোনার পেস্ট লাগিয়ে বিমান সফর করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান এক মহিলা যাত্রী। কলকাতায় নামার পর এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। আবদুল হামিদ মনসুরি নামে ওই যাত্রী হাতেনাতে ধরা পড়ায় নজরদারি আরও বাড়াচ্ছেন কলকাতা নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধিকারিকরা।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই ভোর তিনটে নাগাদ আবুধাবি থেকে কলকাতায় আসে এয়ার এতিহাদের একটি বিমান। ওই বিমানেই কলকাতায় আসেন ভারতীয় নাগরিক আব্দুল হামিদ মনসুরি। আন্তর্জাতিক টার্মিনালে শুল্ক দপ্তরের পরীক্ষা পর যখন যাত্রীরা একে একে টার্মিনাল থেকে বাইরে বার হচ্ছিলেন, তখন ওই মহিলা বিমানযাত্রীর হাঁটার ধরন দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক দপ্তরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের।
মনসুরি হাঁটার সময়ে তাঁর শাড়িটি কিছুতেই সামলাতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল, তিনি যেন ভারী কিছু একটা পড়ে আছেন। আঁচল বারবার খুলে যাচ্ছে। এরপর শুল্ক দপ্তরের গোয়েন্দারা তাঁর পোশাক পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখতে পান গোটা শাড়িতেই সোনার গুড়োর মতো কিছু লেগে আছে। ভালো করে পরীক্ষা করে বোঝা যায়, রাসায়নিক মিশিয়ে তরল সোনা লেপে দেওয়া হয়েছে শাড়িতে।
অভিজ্ঞ গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, এটা সোনা পাচারের অভিনব ছক। জেরার মুখে ভদ্রমহিলা সোনা পাচারের কথা স্বীকার করে নেন। শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শাড়ি থেকে সোনা এক জায়গায় করে তারপর রাসায়নিক পৃথকীকরণের মাধ্যমে আসল সোনার পরিমাপ করা হয়।
তবে সোনা পাচারের এই নতুন পদ্ধতির বিষয়ে বিমানবন্দরের আধিকারিকদের সতর্ক করা হচ্ছে। যাত্রীদের হাঁটাচলার ধরন খতিয়ে দেখার উপরও জোর দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।