• MH-370: যাত্রী-কর্মীদের মেরে আত্মঘাতী ক্যাপ্টেন? দাবি ব্রিটিশ এক্সপার্টের
    এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: এমএইচ-৩৭০ বিমান উধাও রহস্যে নয়া মোড়! ২০১৪-র ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর থেকে চিনের বেজিং যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে হারিয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০। ঘটনার ১০ বছর পরেও এই রহস্যের কিনারা হয়নি। ইতিউতি বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে খবর হলেও যাত্রী কিংবা চালক-কর্মীদের দেহাবশেষ মেলেনি আজও।বিমান উধাও রহস্যের ১০ বছর পূর্তিতে বিস্ফোরক দাবি করলেন সার্চ টিমের একসময়ের সদস্য তথা ব্রিটিশ অ্যাভিয়েশন এক্সপার্ট সিমন হার্ডি। তাঁর কথায়, ‘আমার যা ধারনা, তাতে ওটা গণহত্যাই। বিমানের ক্যাপ্টেন জ়াহেরি আহমেদই তাঁর সহ-চালক এবং বিমানে থাকা সব যাত্রীকে খুন করে প্লেনটিকে অতল সাগরে ডুবিয়ে দেন।’

    নিজের থিয়োরির পক্ষে বেশ কিছু ‘ক্লু’-ও দিয়েছেন হার্ডি। তাঁর দাবি, সমুদ্রে ডোবানোর আগে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশের দিকে পুরো সাত ঘণ্টা ‘আনট্রেসড’ অবস্থায় ওড়ার জন্যই ককপিটে অতিরিক্ত ৩ হাজার কেজি অক্সিজেন ও ফুয়েল লোড করেছিলেন জ়াহেরি! হার্ডির দাবি, দাম্পত্যে প্রবল টানাপড়েনের মধ্যে থেকে বিস্তর নারীসঙ্গ ইত্যাদি কারণে মানসিক অবসাদগ্রস্ত এবং সুইসাইডাল হয়ে পড়েছিলেন ক্যাপ্টেন।

    এমএইচ ৩৭০-র খোঁজে একটা সময়ে তৎপর হয়ে অভিযানে নেমেছিল কুড়িটিরও বেশি দেশ। লাভ হয়নি তেমন। প্রায় দেড় লক্ষ বর্গকিলোমিটার এরিয়া জুড়ে প্রায় ৩ বছর ধরে চলে চিরুনি তল্লাশি। শেষমেশ হাতে কিছুই না পেয়ে ২০১৭-য় সরকারি ভাবে তল্লাশি অভিযান বন্ধের ঘোষণা করে মালয়েশিয়ার সরকার।

    তারপরেও কিন্তু নিখোঁজ রহস্যে নিয়ে আলোচনা থামেনি। সময়ে-সময়ে উঠে এসেছে নানাবিধ তত্ত্বও। অনেকের দাবি, ওই বিমানের চালককে বিমানে থাকা কেউ খুন করেছিলেন। যে হেতু বিমানযাত্রীদের বেশির ভাগই চিনের নাগরিক ছিলেন, তাই অনেকে সেটির অন্তর্ধানের পিছনে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র হাত থাকতে পারে বলেও মনে করেন।
  • Link to this news (এই সময়)