Electoral Bonds Case : '২৬ দিন ধরে কী করছিলেন?' নির্বাচনী বন্ড নিয়ে SBI-কে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআইকে কার্যত ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বন্ডের তথ্য প্রকাশের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল এসবিআই। ১৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।সুপ্রিম কোর্ট কী জানিয়েছে?
নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশ নিয়ে সোমবার দু’টি আর্জির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সওয়াল জবাবের সময় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বন্ডের তথ্যপ্রকাশের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ ১১ মার্চ।
এই ২৬ দিনের মধ্যে এসবিআই কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বিস্তারিত জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পিটিশনে সে ব্যাপারে নীরব থাকার জন্য ব্যাঙ্কের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি আরও জানিয়েছেন যে বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের জন্য এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিকতা আশা করে শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা পালন না করার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
প্রকৃত ঘটনাটি কী?
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। একটি মামলায় নির্বাচন বন্ড সংক্রান্ত নরেন্দ্র মোদী সরকারের পরিকল্পনাকে অসংবিধানিক এবং ক্ষতিকর বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। অবিলম্বে সেই বন্ড দেওয়া বন্ধ করতে এসবিআইকে দেওয়া হয়েছিল নির্দেশ।
এরই পাশপাশি ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ৪ মার্চের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এরপরেই তথ্য জানানোর জন্য সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য আর্জি জানিয়েছিল এসবিআই। সেই মামলায় ২৬ দিনের মধ্যে তথ্য প্রকাশ না করার জন্য রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে করা হয়েছে ভর্ৎসনা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি মোট ১২ হাজার কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছিল কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। তারা সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছিল বন্ডের মাধ্যমে। কংগ্রেস পেয়েছিল ১ হাজার কোটির টাকার একটু বেশি।
পরিচয় ও দেওয়া অর্থ গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার সুবিধার জন্যই এসবিআইয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চাঁদার মাধ্যমে কালো টাকার লেনদনে রাশ টানাই ছিল নির্বচনী বন্ডের প্রধান উদ্দেশ্যে।