Election Commission Of India : নয়া ২ নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ আটকাতে মরিয়া কংগ্রেস, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ গোয়েল। নতুন ২ কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। কমিশনার নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করার জন্য করা হয়েছে আবেদন।প্রকৃত ঘটনাটি কী?
গত শনিবার আচমকা নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অরুণ গোয়েল। এর ফলে ২ নির্বাচন কমিশনারের পদ শূন্য হয়ে যায়। সামনে লোকসভার ভোট। ফলে ভোট সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব এখন সামলাতে হচ্ছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে।
এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে দুই নতুন নির্বাচন কমিশনের নাম চূড়ান্ত হতে পারে বলে খবর। এরপরেই সোমবার নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করার জন্য কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ কী?
দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, সামনে লোকসভা ভোট। এখন নতুন করে কমিশনার নিয়োগ করা হলে, নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে। ফায়দা লুটতে কেন্দ্র নিজেদের ঘনিষ্টদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করতে পারে বলে করা হয়েছে আশঙ্কা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের নতুন নির্বাচন কমিশনার সংক্রান্ত আইন এখন শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন।
এ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্রের আছে কীনা, তা নিয়েও পিটিশনে তোলা হয়েছে প্রশ্ন।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন আইনটি কী?
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কেন্দ্রের নতুন আইনে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং আরও দুই কমিশনার নিয়োগে তিন সদস্যের একটি প্যানেল রয়েছে। এই প্যানেলের সদস্যরা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং কেন্দ্রের মনোনীত একজন মন্ত্রী। আগে এই প্যানেলের সদস্য ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু নতুন আইনে প্রধান বিচারপতিকে প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই আইনের বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না বলে অভিযোগ করা হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে নতুন আইনটি বাতিলের দাবিতে করা হয়েছে মামলা। গত জানুয়ারি মাসে সেই মামলার শুনানিতে আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা না হলেও, কেন্দ্রের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত।