এই সময়, মথুরাপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের নতুন মুখ। প্রার্থী হলেন বছর বাপি হালদার। এই কেন্দ্রে গত তিন বারের সাংসদ হলেন চৌধুরীমোহন জাতুয়া। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অসুস্থ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রে তাঁকে দেখা যায়নি। তাই ২০২৪-এর নির্বাচনের তৃণমূল যে এখানে নতুন প্রার্থী দেবে, তা জানাই ছিল।কিন্তু কে হবেন তা নিয়েই আলোচনা ছিল। শেষমেশ টিকিটি পেলেন বছর চল্লিশের বাপি হালদার। মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোদিয়াল গ্রামের বাসিন্দা বাপি বর্তমানে সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি। কংগ্রেস ঘরানায় বড় হওয়া কলেজ জীবনে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর।
পলিটিক্যাল সায়ন্সে অনার্স নিয়ে মন্দিরবাজারের গৌরমোহন শচীন মণ্ডল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন বাপি। এরপর অঞ্চলের যুবনেতা হন।পরে ব্লকের যুব সভাপতি এবং সহ সভাপতির পদ সামলেছেন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়ে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন বাপি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসন থেকে জয়ী হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্যের কর্মাধ্যক্ষ বাপি হালদার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়পন্থী শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বাপিকে এ বার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করল তৃণমূল। রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।
তখনই মথুরাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে বাপি হালদারের নাম জানানো হয়। ঘোষণার পর বাপি ব্রিগেড থেকে সরাসরি মথুরাপুরের বাড়িতে ফেরেন। এরপর তিনি আশীর্বাদের পাশাপাশি পরামর্শ নিতে কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের কাছে আসেন। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর তিনি সরাসরি চলে যান গঙ্গাসাগরে।
কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করতে চান বাপি হালদার। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের অন্যতম মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য দল আমাকে ভরসা করে প্রার্থী করেছেন। তাই আমি এই কেন্দ্র থেকে জিতে দলের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার বিধায়কের আশীর্বাদ ও পরামর্শ নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে মানুষের আশীর্বাদ পাওয়াটাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য। কেন্দ্রের বঞ্চনার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চাই। গতবারের চাইতে আমি আরও বেশি ভোটে জয়ী হব বলে আশাবাদী।’