SLST নিয়োগ জট কাটাতে বড় উদ্যোগ! ব্লু প্রিন্ট রেডি, আজই এজির সঙ্গে বৈঠক ব্রাত্য-কুণালের
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
SLST চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ জট কাটাতে উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। একটু পরেই হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কুণাল ঘোষও। সোমবার এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ।এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, 'নবম থেকে দ্বাদশ এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ জট কাটাতে আজ বিকাশভবনে দু'দফায় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন ও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। আন্দোলনকারীদের অনুরোধে আমিও ছিলাম। এটা একটা বিকট জট তৈরি হয়েছিল। সেটা কারও না কারও ভুলে হয়েছে, তা অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি যথন ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তিনি এটার সমাধানের বদলে..., এসএসসি-র একটা পিটিশনের উপরে তিনি ইচ্ছা করলে সেই সময় এই নিয়োগটাকে সবুজ সংকেত দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু সেটা তিনি না দিয়ে, সিবিআই ডাকতে গিয়ে এমন সব রায় লিখে গিয়েছেন, আইনি জটে জড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিষয়টা। এতে চাকরিটা আটকে গিয়েছে।'
কুণাল আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, শিক্ষামন্ত্রী বার্ত্য বসু পর্যালোচনা করে, বিভিন্ন আইনি মতামত নেওয়া হয়েছে। জট যে পুরো খুলে গিয়েছে এই কথাটা বলা যাচ্ছে না। কিন্তু সরকার সদিচ্ছা নিয়ে এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে, আন্দোলনকারীরা যে ফর্মুলাগুলো দিয়েছেন সেগুলি খতিয়ে দেখে একটা লাইন অফ অ্যাকশনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা গিয়েছে। কিন্তু সেটা আইনি বৈধতা সাপেক্ষ। যদি সেই আইনি বৈধতা পাওয়া যায়, তাহলে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ মেনে, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির কথা ভেবে, সরকার অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। কিন্তু সেটা আইনি বৈধতা পাবে কি না সেই জন্য আজ এজির একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করা ছিল। সেটা হাইকোর্টে, এসএসসি-র তরফ থেকে। সেই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, আমরা এখন যাচ্ছি। যে ফর্মুলা তৈরি হয়েছে, সেটা যদি এজি সবুজ সংকেত দেন, সেক্ষেত্রে সরকার অবিলম্বে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।'
এজি-র সঙ্গে বৈঠকে আইনি জট কাটবে?হ্যাঁনাজানি না
প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরির প্রার্থীরা। এই বিষয়ে মামলাও চলছে আদালতে। গোটা পরিস্থিতির জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়নি। এখন দেখার এজির সঙ্গে বৈঠক থেকে কী উঠে আসে।