CAA Rules to be Notified Today: সোম রাতেই আস্তিনের শেষ তাস, CAA বিধির বিজ্ঞপ্তি জারি অমিত শাহর মন্ত্রকের?
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
সোমবার রাতেই ঘোষণা হতে পারে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগেই এই আইন কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্র। এমন খবর আগেই ছিল। সোমবারই সেই দিন বলে জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভোটের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট অর্থাৎ আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগেই কেন্দ্রে CAA বিধি লাগু করতে চলেছে। এদিন রাত ১০টার আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে CAA নোটিফিকেশন জারি হতে পারে।
কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই আইনটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তা চালু করার চিন্তাভাবনা নিয়েছিল সরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত বলে আগেই জানা গিয়েছে। তৈরি অনলাইন পোর্টালও। পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই হবে বলে খবর। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইন হিসেবে সংসদে পাশ হয়। এই আইন এখনও পর্যন্ত দেশে চালু হয়নি। তবে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে খুব দ্রুত যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল সরকারি তরফে। সেটিই সোমবার বাস্তবায়িত হবে বলে খবর।
CAA কার্যকর হলে কী প্রভাব?নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে একাধিক বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই CAA। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA কার্যকর হবে না।
কেন্দ্রের দাবিএ দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার CAA আইনের জেরে কোনওভাবেই প্রভাবিত হবে না। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। ভারতীয় মুসলিমদের উপর CAA-এর কোনও প্রভাব পড়বে না। কোনও ভারতীয় নাগরিককে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করবে না CAA। আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হলে নতুন করে বিরোধীরা পথে নামবে বলেই অনুমান করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।