• Lok Sabha Election 2024: বিধানসভা-লোকসভা ভোটে লড়তে পারেন সরকারি কর্মচারীরা? কী বলছে নিয়ম?
    এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
  • সম্প্রতি সরকারি হাসপাতালে এক চিকিৎসকের ভোটের লড়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে রাজস্থান হাইকোর্ট। শর্ত সাপেক্ষে ওই চিকিৎসকে নির্বাচনের লড়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ, মেডিকেল অফিসারের কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে তবেই নির্বাচনে লড়তে পারবেন তিনি। পাশাপাশি আদালত আরও বলেছে, যদি তিনি নির্বাচনে হেরে যান তবে পুনরায় কাজে যোগ দিতে পারবেন। আবেদনকারী চিকিৎসক ৪৩ বছর বয়সী দীপক ঘাঘরাকে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দুনগড়পুর আসন থেকে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির (BTP) হয়ে লড়বেন তিনি। দীপক বিটিপি রাজ্য় সভাপতি ভেলারাম ঘোঘরার পুত্র।এখানেই প্রশ্ন উঠছে একজন সরকারি কর্মচারী ভোটে লড়তে পারেন? উত্তর এক কথায় 'না'। কোনও রাজ্য় অথবা কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মচারীদের কোনও ভোটে লড়াই বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয় না। ২০১৯ সালের সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (কন্ডাক্ট) রুলস ১৯৬৪-এ উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা কোনও আইনসভা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

    সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (কন্ডাক্ট) রুলস, ১৯৬৪ বলে: নির্বাচনী প্রচার বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না কোনও সরকারি কর্মচারী। আইনসভা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।' এতে আরও বলা হয়েছে, 'কোনও সরকারি কর্মচারী কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না বা সেই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে যা কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন বা কার্যকলাপকে সহায়তা করে।' এই একই নিয়ম প্রযোজ্য রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও আধিকারিকদের ক্ষেত্রেও।

    তাহলে একজন সরকারি কর্মচারী কী ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন?

    নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সরকারি কর্মচারীদের তাদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ বা অবসর নিতে হবে। পদে থাকা অবস্থায় তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাদের পদত্যাগ সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) নিয়ম অনুযায়ী বৈধ হতে হবে ।

    নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর কী হয়?

    ব্যক্তি নির্বাচনে জয়ী হলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন। যদি ওই ব্যক্তি হেরে যান তাহলে সরকার এবং উচ্চ আদালতের উপর নির্ভর করে যে তারা ওই ব্যক্তি যাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে পুনর্বহাল করতে চায় কিনা। দীপকের ক্ষেত্রে রাজস্থান হাইকোর্ট জানিয়েছে, তিনি যদি হেরে যান তবে পুনরায় মেডিকেল অফিসার পদে যোগ দিতে পারবেন।
  • Link to this news (এই সময়)