মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলেকে ‘উন্মাদ’ বলেছিলেন মা। আর তারজন্য মা-কে পেতে হল চরম শাস্তি। খুনের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার উঠল অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের ৪৮ নম্বর সেক্টর এলাকায়। খুনের অভিযোগে মানসিক অসুস্থ ছেলেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।প্রকৃত ঘটনাটি কী?
গুরুগ্রামের পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম রানু শাহ। ৫৯ বছর বয়স। গুরুগ্রামের ৪৮ নম্বর সেক্টরে একটি বহুতলে ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। খুনে অভিযুক্ত অত্রিশ দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রায় মা-বাবার সঙ্গে প্রায় বচসা হত অত্রিশের। শনিবার রাতে রানু শাহ-র ফ্ল্যাটে আগুন জ্বলতে দেখেছিল স্থানীদের কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে দমকল এবং স্থানীয় থানার পুলিশকে খবর দেয় তারা। দরজা ভেঙে অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
অগ্নিদগ্ধ হওয়ার আগে মহিলাকে আঘাতে খুন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার সময় ঘরে ছিল না মহিলার স্বামী। পুরো সন্দেহ গিয়ে পড়ে মানসিকভাবে অসুস্থ অত্রিশের উপর। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ কী জানিয়েছে?
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, মানসিক অসুস্থতার জন্য প্রায় মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তেন অত্রিশ। ঘটনার দিনও বচসা বেঁধেছিল তাঁদের মধ্যে। এই সময় মা তাঁকে ‘উন্মাদ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই ক্ষোভে ছুরি নিয়ে মায়ের উপর ২৭ বছর বয়সী যুবক হামলা চালিয়েছিলেন।
একাধিক ছুরির কোপে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছিল রানু শাহ-র। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল বলে গুরুগ্রাম পুলিশের দাবি। সিনিয়র পুলিশ কর্তা মায়াঙ্কা গুপ্তা জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অত্রিশের।
সে কতটা মানসিকভাবে অসুস্থ, তা খতিয়ে দেখতেই শারীরিক পরীক্ষা বলে পুলিশের ওই কর্তা জানিয়েছেন। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বহুতলের অন্যান্য বাসিন্দারা।
মায়ের খুনের প্রমাণ লোপাটে যেভাবে আগুন ধরিয়ে দিল, তাতে পুরো আবাসন আগুনের গ্রাসে চলে যেতে পারত বলে আতঙ্কে শিউকে উঠেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে আর্জি।