Hansja Sharma : দেশের প্রথম সামরিক বিমান চালিয়ে নজির ক্যাপ্টেন হান্সজা শর্মার, পেলেন রৌপ্য চিতা স্মারক
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
দক্ষতা এবং সংকল্পের এক অসাধারণ প্রদর্শন। সামরিক বিমান চালনার ক্ষেত্রে নতুন নজির গড়লেন ক্যাপ্টেন হান্সজা শর্মা। যুদ্ধবিমান চালনায় অসাধারণ দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পেলেন বিশেষ সম্মান। প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ রৌপ্য চিতা স্মারক।সম্প্রতি কমব্যাট আর্মি এভিয়েশন ট্রেনিং স্কুল (CAATS)-এ সামরিক বিমান চালনার একটি কোর্স সম্পন্ন করেছেন হান্সজা শর্মা। পুরুষ ও মহিলা মিলে মোট ৩৩ জন বিমানবাহিনীর অফিসার কঠোর প্রশিক্ষণের কোর্সটি করেছিলেন। হান্সজা হচ্ছেন একমাত্র মহিলা, সাফল্যের সঙ্গে কঠিন এই কোর্সটি শেষ করতে সফল হয়েছেন।
তাঁর এই সাফল্য, সেনাবাহিনীতে নারী শক্তির ক্ষমতার আরও একধাপ বৃদ্ধি পেল। হান্সজার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামী দিনে আরও মহিলা সামরিক বিমান চালনার জন্য এগিয়ে আসবে বলে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।
কে হান্সজা শর্মা?
জানা গিয়েছে, হান্সজা শর্মা জম্মুর রিহারি কলোনির বাসিন্দা। মাত্র ২২ বছর বয়সে সামরিক বিমানের পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে তিনিই একমাত্র মহিলা, যিনি প্রথম সামরিক অফিসারের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
কী বলছেন হান্সজা?
স্কুল জীবন থেকে এনসিসি ক্যাডেট-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হান্সজা। ছোট বেলা থেকে দেখতেন আইএএস হওয়ার স্বপ্নও। কিন্তু কলেজ জীবনে প্রবেশের পর এনসিসি-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই আইএএস ছেড়ে সেনাবাহিনীর পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। পরে যোগ দিয়েছিলেন বাহিনীতে। অবশেষে CAATS-এ সামরিক বিমান চালনার কোর্সটি সম্পন্ন করেছেন সাফল্যের সঙ্গে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রত্যাখ্যান
কোর্সটি করার সময় মোট পাঁচবার তাঁকে প্রত্যাখ্যাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন হান্সজা শর্মা। দুইবার ওজনের জন্য কোর্সটি করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এছাড়া আরও দুইবার চোখের জন্য এবং একবার নাকের জন্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। এরপর ওজন কমানো জন্য ব্যায়ামের উপর জোর দিয়েছিলেন তিনি।
সেই সঙ্গে করেছিলেন ডায়াট কন্ট্রোল। এছাড়া নাকের সমস্যার জন্য করেছিলেন অস্ত্রোপচার। অবশেষে কোর্সটি শেষ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত হান্সজা। কোর্সটি সফলভাবে শেষ করার জন্য তাঁর এনসিসি-র সিনিয়ররা গাইড করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরিবারে উচ্ছ্বাস সামরিক বিমান চালনার ক্ষেত্রে হান্সজার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা ও মা। বাবা উমেশ শর্মা জানিয়েছেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় নাম ছিল হান্সজার। তবে, সেনাবাহিনীতে মেয়ের যোগদানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। আগামী দিনে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রার্থনায় বাবা-মা।