Election Commissioner: শীঘ্রই ২ শূন্যপদ পূরণ! নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ কী ভাবে? বেতন কত লাখ? জানুন বিস্তারিত
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। ভোটের মুখে পদ ছাড়লেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাদে আরও দুই জন কমিশনার থাকেন। একটি পদ আগে থেকেই খালি ছিল। অরুণ গোয়েল ইস্তফা দেওয়ায় দু'টি পদ বর্তমানে ফাঁকা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে রয়েছেন একমাত্র মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারই। আগামী শুক্রবারের (১৫ মার্চ) মধ্যে দুই নির্বাচন কমিশনারের শূন্যস্থান পূরণের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরেই লোকসভা নির্বাচনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দিকে ঝাঁপাবে কমিশন। নির্বাচন কমিশনারদের কী ভাবে নিয়োগ করা হয়, তাঁদের ক্ষমতা কী? জেনে নেওয়া যাক।নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব
দেশের লোকসভা, রাজ্যসভা থেকে বিধানসভা ও বিধানসভা পরিষদ পর্যন্ত নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনা পর্যন্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে। নির্বাচন কমিশন গঠিত একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও দুইজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে। তিনজনের সিদ্ধান্তেই তৈরি হয় ভোটের নির্ঘণ্ট। সংবিধানের ৩২৪ (২) অনুচ্ছেদে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সংখ্য়া সময়ে সময়ে পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে দেশে মাত্র একজন নির্বাচন কমিশনার থাকলেও পরে তাঁদের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় তিন।
কী ভাবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়?
গত বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের রদবলদল সংক্রান্ত আইন আনে সরকার। সেই অনুযায়ী বর্তমানে নির্বাচন কমিটির সুপারিশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক। নতুন আইন অনুয়ায়ী, সরকারের সংশোধনীর অধীনে, 'সার্চ কমিটি'-তে মন্ত্রিপরিষদের সচিবের পরিবর্তে আইনমন্ত্রী নেতৃত্বে থাকবেন। থাকবেন দুই সচিব। আইনমন্ত্রী ও দুই কেন্দ্রীয় সচিবের সমন্বয়ে গঠিত 'সার্চ কমিটি' পাঁচটি নাম বাছাই করে জমা দেবে নির্বাচন কমিটির কাছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি একটি নাম ঠিক করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বেতন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ ছয় বছর বা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ছাড়াও ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, নির্বাচন পরিদর্শন থেকে কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনারের। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে ব্য়বস্থা নিতে পারে কমিশন। আচরণবিধি জারি থাকাকালীন কোনও কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম না মানতে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারেন নির্বাচন কমিশনার।