'আসল দিদি নং ১ সন্দেশখালির মহিলারা', রচনাকে খোঁচা লকেটের
এই সময় | ১১ মার্চ ২০২৪
রবিবারই বলেছিলেন আসল লড়াই নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। আর সোমবার আরও একধাপ এগিয়ে সন্দেশখালির মহিলাদেরই আসল 'দিদি নং ১' বলে আখ্যা দিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে প্রার্থীতে চমক আনার চেষ্টা করলেও আসলে তৃণমূল কিছুই করতে পারবে না বলেও দাবি করেন লকেট।হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা একটি জনপ্রিয় টিভি রিয়্যালিটি শো দিদি নম্বর ১ - এর সঞ্চালিক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে প্রচার লেখা শুরু করে দিয়েছেন দলের কর্মীরা। যদিও বিজেপি ভরসা রেখেছে গতবারের জয়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপরেই। তাই এবারে এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্র বিশেষভাবে নজরকাড়া। একসঙ্গে সিনেমা করেছেন দুই অভিনেত্রী, এবার রাজনীতির ময়দানে লড়তে চলেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। রচনা রাজনীতিতে নতুন হলেও লকেট চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতির ময়দানে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারেই গুরুত্ব দিতেও নারাজ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, 'রাজনীতি আর সিনেমা দু'টো আলাদা বিষয়। এখানে কোনও দিদি নম্বর ওয়ান-এর লড়াই নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। এটা আমার বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই নয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের লড়াইয়ের ময়দানে সামনে রাখা হয়েছে। আমি মোদীজির সৈনিক হিসেবে রয়েছি। যে ভাবে রাজ্যের শাসকদল দুর্নীতি করেছে, সন্দেশখালি ঘটনার মতো তাতেও কোনওভাবেই ধামা চাপা দেওয়া যাবে না।
এরপরেই লকেট বলেন, 'আসল দিদি নাম্বার ওয়ান হচ্ছেন সন্দেশখালির মহিলারা, যাঁরা আসল লড়াই করেছেন, কোনও টিভি ক্যামেরা ছাড়াই, তাঁরা দিনের পর দিন না খেয়ে লড়াই করে গিয়েছেন। সেখানে কোনও অভিনয় ছিল না সেটাই হচ্ছে আসল দিদি নাম্বার ওয়ান। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা হয়েও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারেননি। গণতন্ত্রের যে কেউ লড়াই করতে পারে। তবে শেষ বিচার করবে মানুষ।'
এদিকে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'লকেট চট্টোপাধ্যায় অদৃশ্য সাংসদ ছিলেন। তাঁকে কোনও সময়ই পাওয়া যেত না। হুগলি লোকসভার মানুষ একজন সক্রিয় সাংসদ চায়, যিনি কাজ করবেন, মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। অদৃশ্য সাংসদ অশান্তি লাগানোর জন্য আছেন। পাড়ার একটা ছোট পুজোকে নিয়ে গন্ডগোল, সেখানে রাস্তা অবরোধ করছেন। পথ অবরোধ করা, জিটি রোডকে আটকে দেওয়া, মানুষের গতিকে কমিয়ে দেওয়া, যাঁর মধ্যে এই ধরনের নেতিবাচক মনোভাব, তাঁকে হুগলির মানুষ বর্জন করবে।'