হুগলিতে লকেট vs রচনা? রীতিমতো শোরগোল বঙ্গ রাজনীতি। আর সোশ্যাল মিডিয়া তার 'কর্তব্য' করে চলেছে। এক যুগ আগে স্বপন সাহার মুক্তি পাওয়া ছবি নিয়ে দেদার মিমের ছড়াছড়ি।হুগলিতে শেষমেশ বাজি নিয়ে যাবেন কোন দিদি? তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা। প্রার্থী হওয়ার পর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ও (লকেট চট্টোপাধ্যায়) আমার ভালো বন্ধু। দিদি যে সুযোগটা করে দিয়েছেন আমি তার সদব্যবহার করতে চাই।' লকেট অবশ্য লড়াইয়ের ময়দানে নিজেকে সামনে রাখেননি। তিনি দাবি করেছিলেন, 'রচনার সঙ্গে লড়াই নয়। এটা মোদী বনাম মমতার লড়াই।'
যদিও সেই দাবি রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় যান তিনি। সেখানে রচনা বলেন, 'লড়াইটা মোদী বনাম মমতা, সেটা ওঁর বিশ্বাস। কিন্তু, ও ওর পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলেছে, আমি আমার পরিপ্রেক্ষিতে বলছি। সেক্ষেত্রে বলব মোদী বনাম মমতা যদি সে বলে সেক্ষেত্রে বলতে হয় মোদীর ছত্রছায়াতে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়াতে রয়েছি আমি। সেক্ষেত্রে লকেট আর রচনার মধ্য়েই তো লড়াই হচ্ছে তাই না?'
অর্থাৎ সন্তর্পণে লকেট vs রচনা বিজেপি প্রার্থী এড়িয়ে গেলেও ‘দিদি নং ১’-এর সঞ্চালক রাজনীতির ময়দানে যেন খোলা চ্যালেঞ্জ জানালেন প্রতিপক্ষকে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল স্বপন সাহার একটি ছবি। সেখানে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রচনা এবং লকেট। আর দুই জায়ের খুটখাট সেখানে লেগেই থাকত। সেই সিনেমার কিছু ক্লিপিংস নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বড় পর্দার বাইরে লকেট এবং রচনা দুই জনের সম্পর্কই বেশ ভালো বলেই টলিপাড়া সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, হুগলি পুনরুদ্ধারের জন্য এবার লকেটের হাতিয়ার শিল্প। সেখানে ডানলপ কারখানা বন্ধ। সিঙ্গুরেও শিল্প হয়নি। লকেটের দাবি, যদি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসে সেক্ষেত্রে শিল্প হবে রাজ্যে।
অন্যদিকে, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রিয়্যালিটি শোয়ের সুবাদে বাড়ি বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। বিশেষ করে মহিলাদের কাছে তিনি বিপুল জনপ্রিয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার আগে 'বিকল্প প্রার্থী' হিসেবে আরও কয়েকটি নাম দিয়ে পড়েছিল পোস্টার। অন্যদিকে, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা নিয়ে কার্যত খুশির হাওয়া